ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

চিড়িয়াখানায় অনিয়ম-দুর্নীতি

কিউরেটরকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৫
কিউরেটরকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বিভিন্ন পত্রিকা ও চ্যানেলে ঢাকা চিড়িয়াখানা সম্পর্কে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠায় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এনায়েত হোসেনকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি। আগামী বৈঠকে তাকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।



বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা।

রোববার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাকে এ তলবের নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
চিড়িয়াখানায় প্রাণী রক্ষণাবেক্ষণ, খাবার বিতরণ ও চিড়িয়াখানার ভূমি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় সংসদীয় কমিটি। এজন্য চিড়িয়াখানার কিউরেটরকে তলব করা হয়েছে কমিটির বৈঠকে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে কমিটির আগামী বৈঠকে তাকে হাজির থাকার কথা বলা হয়েছে।
 
কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা বলেন, চিড়িয়াখান‍া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতেই তাকে ডাকা হয়েছে। চিড়িয়াখানায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত জানতে চায় কমিটি।
 
এর আগে কামাল আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বাধীন সাব কমিটি চিড়িয়াখানার নানা অনিয়ম মূল কমিটির কাছে তুলে ধরেন। সাব কমিটির সেই প্রতিবেদনেও কিউরেটরকে অভিযুক্ত করা হয়েছিলো।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে চলমান মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অগ্রগতি, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা, প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত বা নিখোঁজ জেলে পরিবারের পুর্নবাসন নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় জানানো হয়, ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে ১৫ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করায় ইলিশের প্রজনন অধিকতর ফলপ্রসূ হয়েছে। এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকলে ইলিশের প্রজনন সাফল্য জাটকার প্রাপ্যতা এবং ইলিশের উৎপাদন ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
         
কমিটি মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের জন্য ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম ১৫ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে ৩০ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা যায় কিনা সে সম্পর্কে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

এছাড়া, উপকূলে প্র্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত বা নিখোঁজ জেলে পরিবারের পুর্নবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
 
কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, ইফতিকার উদ্দিন তালুকাদার পিন্টু, খন্দকার আজিজুল হক আরজু, মুহম্মদ আলতাফ আলী ও সামছুন নাহার বেগম অংশ নেন।

এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংল‍াদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৫
এসএম/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।