ধুনট (বগুড়া): সরকারিভাবে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে দেওয়া হয়েছিল ৩০০ প্যাকেট পাটবীজ। তাও মৌসুম শুরুর দুই মাস পর।
ইউপি চেয়ারম্যান বীজের প্যাকেটগুলো প্রায় পাঁচ মাস সযতনে পরিষদের গুদামে রেখে দেন। এরপর সোমবার (১৯ অক্টোবর) নষ্ট যাওয়া বীজ প্যাকেটসমেত ফেলে দিয়েছেন আবর্জনার স্তূপে।
এ ঘটনা বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেলের নির্দেশে সকাল ১০টার দিকে গ্রাম পুলিশ সদস্য (চৌকিদার) আব্দুর রশিদ পাটবীজের প্যাকেটগুলো আর্বজনার স্তূপে ফেলে দেন।
এ বিষয়ে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে চলতি মৌসুমে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৩০০ প্যাকেট উচ্চ ফলনশীল তোষা পাটবীজ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মার্চ ও এপ্রিল মাসে তোষা পাট বপন করা হয়। কিন্তু প্যাকেটগুলো ধুনট উপজেলা পাট অফিস থেকে দেওয়া হয় মে মাসের শুরুতে। পরে সেগুলো চেয়ারম্যান বিতরণ না করে পরিষদের গুদামে মজুদ করে রাখেন। গত কয়েক দিন ধরে গুদামে রক্ষিত পাটবীজ পঁচে দুর্গন্ধ বের হলে সোমবার সকালে তা ফেলে দেওয়া হয়।
ভান্ডারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাট মৌসুমের শেষদিকে এসব বীজ বরাদ্দ পাওয়া যায়। তাই কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।
অসময়ে পাটবীজ নিতে স্থানীয় কৃষকেরা আগ্রহী হয়নি দাবি করে তিনি আরো জানান, বীজের প্যাকেট গুদামে পড়ে ছিল। পঁচে যাওয়ায় তা আর্বজনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আগেই জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা উপ সহকারী পাটবীজ কর্মকর্তা হোসনেয়ারা পারভীন জানান, স্থানীয় কৃষকদের দেওয়ার জন্য এক কেজি ওজনের ৩০০ প্যাকেট ইউনিয়ন পরিষদে দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত ইউপি চেয়ারম্যান কেন বীজগুলো বিতরণ করেননি তা জানা নেই।
জানতে চাইলে ধুনটের ইউএনও হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সরকারি পাটবীজ বিতরণ না করে মজুদ রাখার বিধান নেই। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে অফিস সহকারীকে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এসআর