ঢাকা: পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০অক্টোবর) ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ যুক্তিতর্ক শুরু হয়।
শুনানিতে ঐশী ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে আনীত খুনের অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে দাবি করে প্রসিকিউটর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানির পর ঐশীর পক্ষে যুক্তিতর্ক শুরু করেন তার আইনজীবী ফারুক আহমেদ ও মাহবুবুর রহমান রানা। ঐশীর পক্ষে যুক্তিতর্ক আংশিক শুনানির পর আসামিপক্ষে সময়ের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ বাকি যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর বাবা-মাকে খুনের কথা আদালতে অস্বীকার করেন নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান।
ওই দিন ঐশী দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ছিলেন। এর সমর্থনে একটি সনদপত্র আদালতে দাখিল করেন ঐশী। পুলিশ নির্যাতন করে তার স্বীকারোক্তি আদায় করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। ঐশীর বাবা-মা যখন খুন হয় তখন তিনি বাসায় ছিলেন না। বন্ধুর বাসায় হুইস্কি খেয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। তার বাবা-মাকে কে বা কারা খুন করেছেন তা তিনি জানেন না।
এ মামলায় ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
ওই বছরের ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে ঐশী জবানবন্দি দেন। পরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল দাবি করে ৫ সেপ্টেম্বর স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। আদালত তা নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দেন।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এমআই/এমজেএফ