ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ি সড়কের হাতছানি

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
দেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ি সড়কের হাতছানি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বান্দরবান থেকে ফিরে: দার্জিলিং নয়, নয় শিলং- এটা বাংলাদেশের বান্দরবান। মেঘছোঁয়া পাহাড়ি পথ।

পাহাড়ের চূড়ায় সাদা মেঘের ভেলা। সবুজ পাহাড়ের বুক চিড়ে সুউচ্চে আরোহনের স্বাদ নিতে এতদিন ভ্রমণ পিপাসুদের ছুটে যেতে হতো পাশের দেশ ভারতের মেঘালয়, দার্জিলিং বা কাশ্মিরে। কিন্তু এখন আর দেশের বাইরে নয়, এবার বান্দরবানের পাহাড়ি বুনো পথেই মোহনীয় সৌন্দর্যে অবগাহন করতে পারবেন পর্যটকরা।

পর্যটকদের পাহাড়, মেঘ আর সবুজের সান্নিধ্য দিতে আড়াই হাজার ফুট উপরে সড়ক নির্মাণ করেছে সরকার।

আলীকদম থেকে থানচি পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটারের এ সড়কটি দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার সড়ক। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে আড়াই হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার এ সড়ক নির্মাণকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সফল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর।

২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করায় এ সড়কটি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সেনা কর্মকর্তারা।

এজন্য সড়কটির নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সেনাবাহিনীর জরিপ টিম ১১টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ করেছে। নভেম্বরে কাজ শেষ হলে ডিসেম্বরেই সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে আলীকদম-থানচি সড়কটি।

পাহাড়ি অরণ্যঘেরা এ দুর্গম সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। তবে নির্মাণে গিয়ে পিছিয়ে যায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এরপর ২০০১ সালে এ কাজ দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। ২০০৬ সালে রাস্তার কাজে হাত দেয় সেনাবাহিনী। বর্তমান সরকারের তাগিদে ২০১০ সাল থেকে দ্রুতগতিতে কাজ চালায় তারা।

১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ বছরের এপ্রিলে সড়কটির নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। জুলাই মাসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ধসে রাস্তাটির ১১টি স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই আরও এককোটি টাকা ব্যয়ে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত ও সংস্কার করে আবারও রাস্তাটি চালু করছে সেনাবাহিনী।

সড়ক নির্মাণের প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকেই পর্যটকদের জন্য এটি পুরোপুরিভাবে খুলে দেওয়া হবে।

দেশের পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করতেই এমন উদ্যোগ জানিয়ে তিনি বলেন, সড়কটি নির্মাণের ফলে কক্সবাজার থেকে বান্দরবান এবং বান্দরবান থেকে কক্সবাজার খুব সহজেই যেতে পারবেন পর্যটকরা। তাদের অন্যতম আকর্ষণ হবে দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কে আরোহণের রোমাঞ্চকর ভ্রমণ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
এসএ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।