ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আইসিডিডিআরবি’র গবেষণা

আর্সেনিকের প্রভাবে শিশুর নিউমোনিয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৫
আর্সেনিকের প্রভাবে শিশুর নিউমোনিয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ

ঢাকা: আইসিডিডিআরবি ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের এক গবেষণায় দেখা যায়, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে যারা আর্সেনিকে আক্রান্ত, তাদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ।   

গবেষকরা  মারাত্মক ও অতি মারাত্মক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী ১শ ৫৩ জন শিশুর প্রস্রাবের নমুনায় আর্সেনিকের ঘনত্ব বিশ্লেষণ করেছেন এবং ২শ ৯৬ জন সুস্থ শিশুর প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করে তার ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করেছেন।



শিশুদের ওজন ও উচ্চতাসহ সংশি¬ষ্ট ঝুঁকি বিবেচনা করার পরও আর্সেনিকের সঙ্গে নিউমোনিয়ার যোগসূত্র পাওয়া যায়।

জানুয়ারি ২০১২ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৩ সময়কালে আইসিডিডিআরবি’র ফিল্ড সাইট চাঁদপুরের মতলবে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মেইলমেন স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও জনস হপকিন্স ব্লমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের সহায়তায় গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।  

সারা বিশ্বে শিশুমৃত্যুর জন্য দায়ী একটি অন্যতম সংক্রামক রোগ নিউমোনিয়া। বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর প্রায় ১৫ শতাংশই এ কারণে ঘটে। শুধু ২০১৩ সালে সারা বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৯ লাখ ৩৫ হাজার জন শিশু নিউমোনিয়ায় মারা ‍যায়।

বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর প্রধানতম কারণ নিউমোনিয়া- যা এই বয়সী শিশুদের মোট মৃত্যুসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ।
     
আরও খারাপ খবর হলো, বাংলাদেশের সাড়ে তিন কোটিরও বেশি মানুষ যে পানি ব্যবহার করছে তাতে আর্সেনিকের ঘনত্ব দেশের জাতীয় মান ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকার চেয়ে বেশি।

গবেষণা নিবন্ধটির প্রধান গ্রন্থকার ও জনস হপকিন্স ব্লমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল হেলথ-এর সহকারী অধ্যাপক ড. ক্রিস্টিন মেরি জর্জ বলেন, গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা যায়, আর্সেনিকের অল্প বা মাঝারি প্রভাবও শিশুদের নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। পানীয় জলে আর্সেনিক থাকলে তা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, যা তাদের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তোলে।
 
গবেষণাটির জ্যেষ্ঠ পরামর্শদাতা ও আইসিডিডিআরবি’র মতলব হাসপাতালের সাবেক প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, আর্সেনিকের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সিডি৪-টি সেলের সংখ্যা কমিয়ে ফেলে। ফলে মানবদেহের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

সিডি৪-টি সেল বিভিন্ন রোগ সংক্রমণকারী জীবাণু থেকে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার অভিযোজনের মাধ্যমে মানুষকে রক্ষা করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।