রাজশাহী: যৌতুকের জন্য আগুনে পোড়ানো গৃহবধূ নাসিমা আক্তার নাইস (২৩) মারা গেছেন। শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নাসিমা আক্তার নাইস রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কোরোসিনের আগুনে তার শরীরের ৮২ শতাংশ পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রুবেল হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তার বাড়ি বগুড়ার আদমদিঘির কুণ্ডগ্রামে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ভুইয়া জানান, মৃত্যুকালে নাসিমার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, তার স্বামীই নাসিমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়েছে।
এদিকে, স্বামী রুবেল হোসেনকে ধরতে গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ভাড়া বাড়ির তালা। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৫ অক্টোবর (রোববার) সন্ধ্যায় নাসিমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
নাসিমার বাবা আবদুল গাফফার বাংলানিউজকে জানান, যৌতুকের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রুবেল হোসেন তার মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তার দাবি অনুযায়ী, তিন লাখ টাকা দিয়ে নওগাঁয় একটি মুদি দোকান করে দেওয়ার পরও মেয়ের উপর নির্যাতন থামেনি।
আবারও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন রুবেল। এ টাকার দাবিতে রুবেল প্রায়ই তার মেয়েকে মারধর করতেন। এরপর শনিবার (২৪ অক্টোবর) মেয়ের মাথায় কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় রুবেল। এতে নাসিমার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে নাসিমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে রোববার সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫
এসএস/জেডএস