নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ১১ কেভির তার ছিড়ে তিনটি ঘর ভস্মিভূত হয়েছে। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে তিনটি গরু।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ কেরাণীপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎ লাইনের শতাধিক মিটার তার পুড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে গ্রামের মিনাউ রহমানের বাড়ির পাশে হঠাৎ করে ১১ কেভির বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশের মন্টু, জহুরুল ও মিনাউ রহমানের তিনটি ঘরে আগুন লাগে। এতে ঘর তিনটি পুড়ে যায়।
মিনাউ রহমানের গোয়াল ঘর বিদ্যুতায়িত হলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনটি গরু মারা যায়। ঘুমন্ত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসার সময় শিশুসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওই গ্রামের আব্দুল হানিফ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ১১ কেভির বিদ্যুৎ লাইনের তারের ওই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে অনেক জোড়াতালি ছিল। যেকোন সময়ে সেটি থেকে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় স্থানীয়রা দুই মাস আগে ডোমার বিদ্যুৎ অফিসে একটি অভিযোগ দেয়। এরপর অফিসের লোকজন ওই সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের কাছে লক্ষাধিক টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এতে শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তারা বলেন, ঘটনার সময় প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে জানানোর চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি। ১৫ মিনিট পর বিদ্যুৎ বন্ধ হলে আর ফোন করেননি তারা। এছাড়া, শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো লোক এলাকায় আসেনি।
এ বিষয়ে ডোমার বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, শুক্রবার রাতে গ্রাহক আমাকে ফোন করে জানালে আমি লাইনটি বন্ধ করে দেই। আমি রংপুরে আছি, রোববার এলাকায় গিয়ে খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৫
এমজেড