ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

একনেকে উঠছে মঙ্গলবার

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু নির্মাণে ২৯১১ কোটি টাকার প্রকল্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু নির্মাণে ২৯১১ কোটি টাকার প্রকল্প

ঢাকা: দেশের খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ৬১টি সেতু পুনর্নির্মাণে ২ হাজার ৯১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)  ঋণ দেবে ১ হাজার ৯০৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।



পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ সূত্র জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু নিরাপদ করতে ‘ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি উত্থাপন করা হবে।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব করবেন। একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রকল্পটি।
 
প্রকল্পের সারসংক্ষেপে দেখা গেছে, ৬১টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর মধ্যে রংপুর জেলায় রয়েছে ১৯টি। এরপর পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহীতে ১৬টি, দক্ষিণাঞ্চলের গোপালগঞ্জে ৭টি, খুলনায় ৯টি, বরিশালে ৯টি এবং নরসিংদীতে একটি।

জাইকার প্রিপারেটরি সার্ভে টিম এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সমীক্ষা চালিয়ে এসব সেতুকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
   
প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।
 
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ৪ হাজার ৭১৫ মিটার সেতু নির্মাণ, ৩৩ দশমিক ২১ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ এবং বাঁধের জন্য মাটির ভরাটের কাজ করা হবে সাড়ে ৭ লাখ ঘন মিটার। এছাড়া এর আওতায় ৪২ কিলোমিটার পেভমেন্ট নির্মাণ, পরামর্শক সেবাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করা হবে। কেনা হবে প্রয়োজনীয় যানবাহনও।
 
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) ‍এক কর্মকর্তা বলেন, ৬১ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের মধ্যে ১০টি মাঝারি ধরনের ব্রিজ ওয়েদারিং স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হবে, যা আমাদের দেশে নতুন প্রযুক্তি। তবে কোনো ১০টিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তা বলতে পারেননি তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।