ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় চাঞ্চল্যকর শিশু ফরহাদ (০৮) হত্যা মামলায় ছয়জনের ফাঁসির আদেশ ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে ময়মনসিংহের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক জহিরুল কবির এ আদেশ দেন।
ফাঁসির আদেশ প্রাপ্তরা হলেন- সাহেব আলী, আব্দুল কদ্দুস, ইব্রাহিম ওরফে ইব্রা, আব্দুল মজিদ ওরফে মধু, মোন্তাজ আলী ওরফে মোন্তা ও জুয়েল। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কমলা খাতুন। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার খেরুয়াজানি গ্রামে।
আদালত সূত্র জানায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ২০১০ সালের ৪ মে আসামি কমলা বেগম একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ফরহাদকে লিচু খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে অন্যান্য আসামির সহায়তায় তাকে দু’হাত বিচ্ছিন্ন করে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে তার বাক্সবন্দি মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুরের উত্তর দিকের একটি ক্ষেতে ফেলে রাখে। অনেক খোঁজাখোঁজির পরও ফরহাদকে ওই সময় পাওয়া যায়নি। পরে ৭ মে তার মরদেহের সন্ধান মেলে। ওই দিনই নিহতের বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় ১৩ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর পরই কমলা বেগম গ্রেফতার হন। তখন তিনি প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় এ হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে অন্যান্য আসামিরা আদালতে একে একে আত্মসমর্পণ করেন।
এরপর ২০১১ সালের ৫ জুন সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর হোসেন দীর্ঘ তদন্ত করে ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন, বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুবোধ চন্দ্র সরকার।
এ রায়ের পর পরই আসামিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর রায়কে ঘিরে গোটা আদালত পাড়ায় কঠোর নিরাপত্তা ছিল। পরে বিকেল ৪টার দিকে আসামিদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫, আপডেট ১৬৪৬
আইএ