ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঘুষের ভিডিও দেখে শহিদুলের সম্পদের খোঁজে দুদক

আদিত্য আরাফাত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫
ঘুষের ভিডিও দেখে শহিদুলের সম্পদের খোঁজে দুদক

ঢাকা: ভিডিও ফুটেজে ঘুষ নেওয়ার দৃশ্য দেখে প্রধান আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ঢাকা শাখার নিয়ন্ত্রক শহিদুল হকের সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক‍)।

সোমবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটি।


 
দুদকের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র অনুসন্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটি তার ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়ে কমিশনে অনুসন্ধান করার জন্য সুপারিশ করে। কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
 
সূত্রটি জানায়, শিগগিরই এ বিষয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। শহিদুল হকের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদেরও সম্পদ খতিয়ে দেখা হবে।
 
জানা গেছে, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে শহিদুল হকের ব্যাংক হিসাবসহ সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করবে দুদক। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে এসব তথ্য নেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র হাতে পাওয়ার পর শহিদুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবি নোটিশ পাঠাবে দুদক।
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত সংস্থা প্রধান আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিসিআইই), ঢাকার সাবেক নিয়ন্ত্রক মো. শহিদুল হক। গত ১০ অক্টোবর শহিদুল হককে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করে মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটি শহিদুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখান থেকে অনুমোদন দিয়ে তা পাঠায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে।
 
গত ১৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
প্রথম থেকে চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বরখাস্ত, অপসারণ বা বিভাগীয় মামলা করতে হলে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
 
পরে ২১ অক্টোবর শহিদুল হককে ১০ দিনের সময় দিয়ে ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ পাঠায় মন্ত্রণালয়। জবাব পাওয়ার পর তার জবানবন্দিও নেওয়া হয়। জবানবন্দি কমিটির কাছে সন্তোষজনক হয়েছে কি-না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জবাব সন্তোষজনক না হলে তদন্ত কমিটি সরকারি কর্মকমিশনে (পিএসসি) প্রতিবেদন পাঠাবে। চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করার আগে পিএসসি আবার তা পাঠাবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে।
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে চাকরি জীবনে একাধিকবার তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজড) হন শহিদুল হক।
 
জানা গেছে, শহিদুল হক ১৯৮৫ সালে বিসিএস বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরি শুরু করেন। সিসিআইই’র আগে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোতে (ইপিবি) গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
এডিএ/আরআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।