ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘যাত্রীর সামনে অটোরিক্সা, বিআরটিএ,পুলিশের নাম্বার টানাতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫
‘যাত্রীর সামনে অটোরিক্সা, বিআরটিএ,পুলিশের নাম্বার টানাতে হবে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এখনও চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে আর যাত্রীর পছন্দের গন্তব্যে যাচ্ছেন না সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। এজন্য ট্রাফিক পুলিশ এবং বিআরটিএর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

সব অটোরিক্সায় যাত্রীর সামনেই গাড়ি নাম্বারসহ দৈনিক জমার হার, চালক-মালিকের নাম এবং বিআরটিএ-পুলিশের নাম্বার টানানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সিএনজি অটোরিক্সার নৈরাজ্য বন্ধে করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

গোলটেবিল আলোচনায় বিআরটিএ সচিব শওকত আলী বলেন, ‘কোন অবস্থাতেই সিএনজি অটোরিক্সার চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করতে পারবেন না।

ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলো এজন্য নিয়মিত বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান আছে বলে জানান তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকে সিএনজি অটোরিক্সা মালিকদের কয়েকজন জানান, অটোরিক্সা পার্কিংয়ের জন্য এখন পর্যন্ত পুলিশ জায়গা দিতে পারেনি। অথচ বিভিন্ন স্ট্যান্ড থেকে সিটি করপোরেশনের নামে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়।

গোলটেবিলে সিএনজি অটোরিক্সা মালিকরা মিটারে সিএনজি চালানোর ব্যাপারে অঙ্গীকার করে বলেন, ‘আমরাও চাই সিএনজি মিটারে চলুক। এজন্য সব চালকদের বলে দেয়া হয়েছে। কেউ আইন না মানলে বিআরটিএ এবং পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে। ’

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি বলেন, ‘দেড় দুই লাখ টাকায় সিএনজি অটোরিক্সা কিনে ১২/১৩ লাখ টাকা দিয়ে সেটি রাস্তায় নামতে হয়। তাই সিএনজি নামানোর প্রক্রিয়ায় ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, সিএনজি চালক মালিকদের সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী আছে কিন্তু যাত্রীরা সংগঠিত নয়। এজন্য বিভিন্ন স্থানে সিএনজি চালকরা যাত্রীদের হয়রানি করে থাকেন। পুলিশকে এ ব্যাপারে ভূমিকা নিতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘পুলিশ অবশ্যই মিটারে যেতে না দেখলে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এজন্য বিআরটিএকে সব ধরণের সহযোগিতা দেয়ার কথা জানান তিনি।

বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, যে হারে প্রাইভেট গাড়ি চলে সে অনুপাতে সাধারণ মানুষের বাহন নেই শহরে। স্ট্যান্ডে টার্মিনালে চাঁদা আদায় বন্ধ না হলে পরিবহন খাতে শৃংখলা ফেরানো যাবে না।

গোলটেবিলের শুরুতে আয়োজক সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, একটি অটোরিক্সা ২০০১ সালে মাত্র এক লক্ষ ৫৭ হাজার ৫শ টাকায় কিনে গত ১৪ বছরে মালিকরা প্রায় এক কোটি টাকা মুনাফা করলেও যাত্রীরা কোন সুবিধা পায়নি। এছাড়া যানজট, সিগন্যাল ইত্যাদির জন্য যাত্রী দায়ী না হলেও এসব ভোগান্তির জন্য টাকার অংকে মাশুল গুনতে হয় যাত্রীদের।

তিনি একটি মডেল তুলে ধরে বলেন, প্রত্যেক সিএনজি অটোরিক্সায় যাত্রীর সামনেই গাড়ি নাম্বারসহ দৈনিক জমার হার, চালক-মালিকের নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিআরটিএ-পুলিশের নাম্বার টানানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
এসএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।