ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আমার কোনো ফেসবুকই নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫
আমার কোনো ফেসবুকই নেই

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: নিজের কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আমার কোনো ফেসবুকই নেই। অথচ আমার অফিসার সেদিন এসে বললো ম্যাডাম ফেসবুকে আপনার হাসিমুখো একটি ছবি দেখলাম।



সোমবার (০৯ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক নিয়ে কথা বলতেই হয়। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে হয়েছে। কিন্তু এই ফেসবুক ভালো কাজেও ব্যবহার হচ্ছে, খারাপ কাজেও ব্যবহার হচ্ছে।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমি সেদিন বিটিআরসিতে (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) গিয়ে সরাসরি বলেছি আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। তারপরও আমার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরে যদি কিছু হয় তাহলে এর দায় দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমার স্পষ্ট মনে আছে- সাঈদীর (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বলা হয়েছিল তাকে চাঁদে দেখা গেছে। সেই ঘটনা নিয়ে কতকিছু হয়ে গেলো। তাই এসব দেখতে হবে।

টিআইবি’র সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, টিআইবির সুতার টান কোথায়? একটি চিহ্নিত শক্তির সুতার টানে নাচছে তারা।

তিনি বলেন, পাঁচ বছর পরই নির্বাচন হবে, কোনো অবৈধ পথের দিকে চেয়ে থেকে লাভ হবে না। গণতন্ত্রের নামে দিনকে রাত বলবেন, তা হবে না।

তিনি বলেন, যখন দু’জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় শেষ পর্যায়ে, তখনও অত্যন্ত বিচলিত হয়েছে সংস্থাটি। সব মিলিয়ে টিআইবিকে বলবো- মেপে কথা বলেন, পরিমিত বোধ রেখে কথা বলুন।
 
আলোচনায় অংশ নিয়ে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ভারতের থেকেও শক্তিশালী। কিছু জানোয়ার ঘটনা ঘটাবেই, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করলে এসব অপকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে। টিআইবি আমাদের সংবিধান, সংসদকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডে আওয়ামী লীগের মানুষজনই বেশি।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না? হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে, দেশে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে পারছি না। এদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
 
সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, যে সময় বর্তমান সরকারের আমলে দেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ পুরস্কৃত হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে- ঠিক তখনই এমন বিতর্কিত রিপোর্ট দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত এবং দেশের ভাবমূর্তি ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে টিআইবি। তাই সংস্থাটির অর্থের উৎস, কারা অর্থায়ন করছে তা খুঁজে বের করার পাশাপাশি টিআইবির কার্যক্রম কী হবে- তা সুনির্দিষ্ট করা উচিত।
 
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, সংসদকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অবমাননা করে তবে স্পিকারের নেতৃত্বে গঠিত সংসদের বিশেষ অধিকার কমিটিতে তাকে হাজির করার বিধান রয়েছে। ১৫ কোটি মানুষের প্রাণের কেন্দ্র জাতীয় সংসদ ভবন। কমিটিতে টিআইবিকে তলব করে জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫, আপডেট ২১০০
এসএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।