ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীতে খানকা কমিটির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
রাজশাহীতে খানকা কমিটির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর টিকাপাড়া এলাকার চিস্তিয়া খানকা শরীফ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার জমি দখলের এ অভিযোগ করেন।



সংবাদ সম্মেলনে মাজেদা বেগম তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, তার বাবা আজাহার আলী চিস্তিয়া খানকা শরীফের নামে ১৯৭৭ সালে দুই কাঠা জমি দান করেন।

যার দলিল নম্বর ২৬৯৬০। মহানগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁতীপাড়া মৌজায় আরএস রেকর্ডের নয় নম্বর খতিয়ানে বর্তমান সিটি হোল্ডিং নং ৪৬১/১-এ জমিটির অবস্থান।

ধর্মীয় অনুভূতি ও খানকার উন্নয়নের জন্য তিনি ওই জমি দান করে যান। কিন্তু বর্তমানে ওই খানকায় ধর্মীয় কোনো কাজ হয় না। নানা ধরনের অনৈতিক কাজ হয় খানকা শরীফের চত্বরে।

ওরশের নামে সেখানে মদ ও জুয়ার আসর বসানো হয়। এছাড়া নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। এসবের কারণে ওই এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, খানকার নামে দেওয়া দুই কাঠা জমি বাদেও তার বাবার ১৮ কাঠা জমি রয়েছে। যা পরবর্তীতে সন্তানরা ভাগ পান। সম্প্রতি তাদের নামীয় সম্পত্তির কিছু অংশ দখলের পায়তারা করছেন ওই খানকা কমিটির সদস্যরা। বসতভিটা থেকে চলে যাওয়ার জন্য কমিটির সদস্যরা নানানভাবে হুমকি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আজহার আলী খানকার যে নামে জমি দান করে গেছেন, কমিটি খানকার ওই নামও এখন পরিবর্তন করে দিয়েছে।

ইতোমধ্যে খানকা কমিটির সভাপতি গোলাম আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেন্টু, হামিদ, পারুলসহ কয়েকজন মিলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। সালিশ বসালেও নানা অজুহাতে তারা হাজির হননি। তাই হুমকির মুখে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তোভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কাঞ্চন রেখা, স্বাধীনা, সাজেদা বেগম, কামরুল ইসলাম, শানু, জানে আলম, সেলিনা, মমতাজ বেগম ও আলমগীর হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
এসএস/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।