ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবন্ধকতা ঠেলে স্মৃতিসৌধে সোনিয়ারা

মফিজুল সাদিক ও সাঈদ শিপন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
প্রতিবন্ধকতা ঠেলে স্মৃতিসৌধে সোনিয়ারা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাভার স্মৃতিসৌধ থেকে: গোপালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সোনিয়া খানম (২০)। ১১ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পা হারান তিনি।

সব প্রতিবন্ধকতা ঠেলে অভাবের সঙ্গে সংগ্রাম করে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৬ই ডিসেম্বর (বুধবার) ৪৫তম মহান বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে লাখো জনতার ঢল নামে সাভার স্মৃতিসৌধে। সব শ্রেণির মানুষ লাল-সবুজ বিজয়ের সাজে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান বীর সেনানিদের। শ্রদ্ধা জানাতে আসা লাখো জনতার মধ্যে একজন সোনিয়া। এক পায়ে ভর দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কাক ডাকা ভোরে স্মৃতিসৌধে তিনি।

এসময় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে গোপালগঞ্জে স্কুলে পড়ার সময় বিজয় উৎসব করেছি। স্মৃতিসৌধের বিষয়ে ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে পড়েছি। আজকে সব বাধা পেরিয়ে ফুল দিতে এসে ভালো লাগছে।

শিশু মিতালী রানি বৃষ্টি (৫), মায়ের সঙ্গে হুইল চেয়ারে বসে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি, সাভার) থেকে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে আসে।

জন্মের পর থেকেই হাঁটাচলা করার সবটুকু ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে সে। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর রায়পুরের মেহেদী হাসান। বর্তমানে উত্তরা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউবিএটি) শিক্ষার্থী। তিন মাস আগে মেরুদণ্ডের স্পাইনাল কর্ডে টিউমারের অপারেশন হয়। অপারেশনের পর তিনিও হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।
 
সকালে বাবার সঙ্গে শহীদ বেদিতে ফুল দিতে এসেছেন হাসান। এসময় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজকে আমাদের অহংকারের দিন। বরাবরের মতো এবারও স্মৃতিসৌধে এসেছি।
 
হাসানের মতো প্রায় অর্ধ শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধী এসেছেন। কেউ এসেছেন বাবার হাত ধরে কেউ বা মায়ের হাত ধরে। বিজয় দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসার টান কোনো প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
এমআইএস/এএসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।