ছাতক, সুনামগঞ্জ থেকে: ‘নির্বাচন অইলে তো ফ্রি চা-পানি অইতাই। ইকান (এখানে) অইতো না কিলাই (কেন)?’ সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভা নির্বাচনের হাল-হকিকত নিয়ে আলাপের এক পর্যায়ে এ কথা বলছিলেন রিকশাচালক সুমন।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সিলেট শহর থেকে রওয়ানা দিয়ে ছাতক টেম্পো স্ট্যান্ডে নেমেই সুমনের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল সুরমা নদীর তীরের মাছ বাজার সংলগ্ন মোড়ে। সুমন দেখছেন, নির্বাচনের প্রচারণা এখনও জমেনি। তবে, সন্ধ্যার পর প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের নিয়ে এখানে-সেখানে বসেন। ‘চা-পানি খাওয়ান’। ‘আপনি ফ্রি চা খেয়েছেন কি? প্রশ্ন করতেই মাথা নেড়ে হেসে ওঠেন সুমন।
প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর সাদাকালো পোস্টারে সেজে গেছে ছাতক শহর। প্রচারণার ছোট-খাটো শোডাউনও চলছে। আলাপে আরেক রিকশাচালক সাঈদুর রহমান বলেন, ‘এসব মিছিল-মিটিংয়ে গেলে টেকাটুকা দিচ্ছে। ’ ‘আপনার পকেটে এসেছে কিছু?’ প্রশ্ন করলে সাইদুরও হেসে ওঠেন। বলেন, ‘আমার লগে যে থাকে, সে ত যায়। এটা ভুটের ক’দিন আগেই শুরু অইছে। ’
মাছ বাজার মোড় থেকে সুরমা ঘেঁষে পশ্চিম বাজার রোডের দিকে যেতে সবজিবাজারে আলাপ হয় কেনাকাটা করতে আসা মাওলানা আবদুস শহীদ ও হাফেজ নেয়ামত উল্লাহর সঙ্গে। কোন প্রার্থীর পালে নির্বাচনী হাওয়া বেশি জানতে চাইলে তারা দু’জনেই নৌকার পক্ষে সায় দেন।
আবদুস শহীদ বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর সুনাম ভালো। আগেও মেয়র ছিলেন। তারে সবাই পছন্দ করে। এবারও তারেই ভুট দেবে। ’
আবদুস শহীদের সঙ্গে মাথা নেড়ে এতোক্ষণ সায় দিচ্ছিলেন নেয়ামত উল্লাহ। এবার তিনিও বলেন, ‘ধানের শীষের প্রার্থী নতুন। নৌকার প্রার্থীকে সবাই আগ থেকে চিনে। তার ইমেজ ভালো। তার সম্ভাবনাই বেশি। ’
শহীদ-নেয়ামতরা জানান, প্রচারণা এখনও জমেনি। প্রধান দুই দলের প্রার্থী মাঠে নামলেই বোঝা যাবে কার পক্ষে লোক বেশি, কার প্রতীকের পালে হাওয়া বেশি।
তারা জানাচ্ছেন, নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন লড়লেও আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম চৌধুরী (বর্তমান মেয়র, নৌকা প্রতীকে) ও বিএনপির শামসুর রহমান শামছুর (ধানের শীষ প্রতীকে) মধ্যেই।
** জকিগঞ্জবাসীর দুঃখগাঁথা
** ওপারে শীতের চাদর, এপারে নির্বাচনী উত্তাপ
** বছর ধইরা মাঠ ঠিক করছি, এখন সরতাম কিতার লাগি
** লাখ লাখ টেকার ভুট এক হাজারে বেচিয়া কতদিন খাইবা?
** এখানে কুনো ভুটো কারচুপি অইছে না
** ডিজিটাল রেল, সময়ানুবর্তী রেল
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
এইচএ/আরআই