নন্দীগ্রাম থেকে ফিরে: পৌরসভা নির্বাচন আসন্ন। সেই নির্বাচনে জয়ের মালা গলায় তুলতে বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছেন পুরো নির্বাচনী এলাকা।
এরপর সেই পোস্টারগুলো নানা কায়দায় সুতা দিয়ে সারিবদ্ধভাবে বেধে জনসমাগম বেষ্টিত এলাকাগুলোতে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে শহর এলাকার রাস্তার পুরো অংশে ওপর দিয়ে পোস্টার টানিয়ে দেওয়ায় এক ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যেন পোস্টারে পোস্টারে ভিন্ন সাজে সেজেছে নির্বাচনী এলাকা।
বুধবার বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভার নির্বাচনী হালচাল সম্পর্কে জানতে সরেজমিনে গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পৌরসভায় মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী লড়ছেন। তারা হলেন- বিএনপির দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুশান্ত কুমার শান্ত ‘ধানের শীষ’ প্রতীক, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিংকু ‘নৌকা’ প্রতীক, স্বতন্ত্র ব্যানারে বিদ্রোহী হিসেবে পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক কাশেম ‘মোবাইল ফোন’ প্রতীক, কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল ‘জগ’ প্রতীক ও জাসদের এ কে এম মাহবুবার রহমান ‘মশাল’ প্রতীক।
এদিকে, পৌরসভার নয় ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন।
তাদের মধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থীরা পাঞ্জাবি, পানির বোতল, ফাইল কেবিনেট, ব্রিজ, ব্ল্যাক বোর্ড, স্ক্র ড্রাইভার, উটপাখি, গাজর, টিউব লাইট, টেবিল ল্যাম্প, ডালিম ও ঢেঁড়স এবং মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা আঙ্গুর, কাঁচি, গ্যাসের চুলা, চকলেট, চুড়ি, পুতুল, ফ্রক, ভ্যানিটি ব্যাগ, মৌমাছি, হারমোনিয়াম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন।
মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা এসব প্রতীক ব্যবহার করে নির্ধারিত মাপের পোস্টার তৈরি করে নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি ছোট আকারের পোস্টার ভোটারের হাতে তুলে দিয়ে তারা ভোট প্রার্থনা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এমবিএইচ/এমজেড