ঢাকা: কৃষকের সম্পদ রক্ষা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় শিগগির কৃষি আদলত গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে গবেষণাভিত্তিক সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ইনসিডিন বাংলাদেশ।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ছোট মিলনায়তানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইনসিডিন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী।
তিনি জানান, বাংলাদেশে কৃষি আদালত প্রতিষ্ঠার বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে কর্মরত কৃষক, ক্ষেত মজুর ও ভূমিহীন সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ এবং মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের ভাবনা থেকে উঠে এসেছে। এই ভাবনার সঙ্গে যুক্ত আছে ২০টির বেশি সংগঠন।
মাসুদ বলেন, ইনসিডিন বাংলাদেশ এবং জাতীয় কৃষি পর্যালোচনা কমিটির যৌথ উদ্যোগে ২৪টি জেলায় তিন বছর মেয়াদী ‘কৃষি কমিশন’ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৫ হাজার প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক এতে অংশ নেন। এ কমিশনেও জোরালোভাবে কৃষি আদলতের বিষয়টি উঠে আসে।
এছাড়া কৃষক, ক্ষেত মজুর ও ভূমিহীন সংগঠনগুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় কর্মশালাতেও কৃষি আদালত স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব সহকারে উঠে এসেছে।
কৃষি আদালতের প্রয়োজনীয়তার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, কৃষকরা বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। বিশেষ করে ভেজাল বীজ, সার, কীটনাশকসহ বিভিন্ন ভেজাল কৃষি উপকরণ বাজারজাত করার মাধ্যমে তাদের ঠকানো হচ্ছে।
‘এছাড়া চুক্তিভিত্তিক চাষের ক্ষেত্রে মুল্য প্রতারণা, চুক্তিকৃত কৃষিপণ্য কেনায় অস্বীকৃতি, সিন্ডিকেট করে কৃত্রিমভাবে কৃষিপণ্যের মূল্য কম দেওয়ার ফলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। হিমাগার মালিকদের চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণায় কৃষকরা পথে বসছেন। কৃষি আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে এসব প্রতারণার হাত থেকে কৃষকরা রক্ষা পাবেন। ’
সংবাদ সম্মেলনে ৫০ জন পুরুষ ও ৫০ জন নারী কৃষকের ওপর জরিপ পরিচালনার ফলাফল তুলে ধরা হয়। এতে একশ ভাগ কৃষকই মনে করেন, সরকারিভাবে কৃষিপণ্য সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনা ও কৃষকদের জন্য বিশেষ বাজার তৈরিতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
এছাড়া কৃষি বীমা প্রচলন ও খাস জমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া সহজ করার পক্ষেও শতভাগ মত উঠে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন ইনসিডিন বাংলাদেশ’র অ্যাডভোকেসি চিফ নাসিমুল আহসান, আইন ও নীতি পরামর্শক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান ও প্রোগ্রাম অফিসার মন্টি দেওয়ান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
একে/আরএইচ