ঢাকা: দেশি-বিদেশি নানা সংস্থায় বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে নারী গাড়িচালকদের। তবে প্রথবারের মতো রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থাও নারী গাড়িচালক নিয়োগ দিল।
নানা বাছাই প্রক্রিয়া শেষে আফসানা মিমি নামের এক নারী চালকের নিয়োগ গত ২০ ডিসেম্বর চূড়ান্ত করেছে ইসি।
দেশে নারী পাইলট আছেন বেশ আগে থেকেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এয়ারফোর্সে দুই নারীর যুদ্ধবিমানের পাইলট হওয়ার ঘটনা খুব আলোচনায় এসেছে। এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়েতেও নারী চালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো।
তবে গাড়িচালক হিসেবে এই প্রথম সরকারি পর্যায়ে কোনো নারীকে নিয়োগ দেওয়া হলো।
যদিও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো যে, তারা খুব শিগগিরই নারী গাড়িচালক নিয়োগ দেবে। কিন্তু বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন। তবে সে প্রক্রিয়ার অগ্রগতি জানতে মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মন্ত্রীকে ফোন দেওয়া হলেও তাদের কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
গত ৫ জানুয়ারি মাঠ পর্যায় ও ইসি সচিবালয়ের জন্য পাঁচজন গাড়িচালক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় সংস্থাটি। এতে কয়েকশ’ আবেদনপত্র জমা পড়ে। নানা বাছাই প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হন পাঁচজন ড্রাইভার। তাদেরই একজন হলেন আফসানা মিমি। খুলনার এই নারী গাড়িচালক মুক্তিযোদ্ধা আলকাজ উদ্দিন হওলাদারের কন্যা। মিমি মুক্তিযোদ্ধা কোটাতেই নিয়োগ পেয়ে যোগদান করতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তার বাবার মুক্তিযোদ্ধার সনদটি যাচাইয়ের পরই নিয়োগপত্র দেবে ইসি।
ইসি’র সচিব সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আফসানা মিমি সবগুলো টেস্টেই ভালো করেছেন। লিখিত পরীক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবহারিক পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই তার যোগ্যতার প্রমাণ মিলেছে। তিনি খুব দক্ষতার সঙ্গেই সবগুলো বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তাই তাকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।
‘একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায়ও বেশ দক্ষতার সঙ্গে আগে মিমি কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানও’- যোগ করেন সিরাজুল ইসলাম।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে ১৩ হাজারের বেশি নারী চালক। এর মধ্যে পেশাদার হিসেবে লাইসেন্স নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৪শ’ নারী গাড়িচালক।
ইসি’র সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে নারী গাড়িচালক নিয়োগে কোনো সমস্যা নেই। বরং নারীরা আরো দায়িত্ব নিয়ে গাড়ি চালান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
ইইউডি/বিএস/এএসআর