ঢাকা: একাত্তরের রাজাকার কমান্ডার মুসলিম লীগ নেতা নেতা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মো. লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আলবদর কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও লুটপাটের সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী এবং রজব আলী পলাতক আছেন। তারা দু’জনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাশাপাশি তিন থানা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে বারটার দিকে তদন্ত সংস্থার কার্যালয় রাজধানীর ধানমণ্ডির সেফহোমে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক এবং এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নূর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রোববারই এ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবেন প্রসিকিউশন।
দু’জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৩(১), ৪(১) ও ৪(২) ধারা অনুসারে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও লুটপাটের সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
৩১৩ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে ১৭৯ পৃষ্ঠার দালিলিক প্রমাণ, ৭২ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং ৬২ পৃষ্ঠার সাক্ষীদের জবানবন্দি রয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নূর হোসেন ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্তকাজ সম্পন্ন করেন।
ঘটনার ২৭ জন ও জব্দ তালিকার ২ জনসহ মোট ২৯ জন সাক্ষী ২ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, আসামিরা পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এমএইচপি/এএসআর