ঢাকা: আইনজীবীদের অনুরোধে দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়ে কাগজে ছাপানো কজলিস্ট আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
গত ২৮ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে ০১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাগজের কজলিস্ট থাকবে না বলে ঘোষণা দেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আরও দেড়মাস বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনের পাশাপাশি কাগজের কজলিস্ট রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
আইনজীবীরা বলছেন, অনেক আইনজীবী ও সহকারীদের স্মার্টফোন নেই কিংবা তারা এখনো ইন্টারনেটের সঙ্গে অভ্যস্থ হননি। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে অবশ্য আইনজীবী ও তাদের সহকারীদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্র্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে।
গত বছরের ০১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় অনলাইন কজলিস্ট। এর সফল বাস্তবায়ন শেষে ০১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাগজে ছাপা কজলিস্ট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে তার পরিবর্তে অনলাইন কজলিস্ট চালুর ঘোষণা ছিল।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানান, প্রতিদিন রাত সাড়ে আটটা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের প্রত্যেকটি বেঞ্চের পরবর্তী দিনের কজলিস্ট চূড়ান্তভাবে অনলাইনে প্রকাশ করা হচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে কাগজে ছাপা কজলিস্টও। বর্তমানে যে কজলিস্ট ছাপা হয় তাতে প্রতিটি কজলিস্টের পেছনে ৪শ’ টাকা খরচ পড়ে। যার খরচ বছরে দাঁড়ায় ২১ কোটি টাকা। অথচ গ্রাহক চাঁদা বাবদ মাত্র ৬০ লাখ টাকা আসে।
প্রতিদিনের ছাপা কজলিস্টের কলেবর বহনযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব নয়। কারণ, প্রায় ৪শ’ পৃষ্ঠার এ কজলিস্ট ছাপাতে প্রতিদিন ৬৫টি গাছ কাটতে হয়। তাই পুরোপুরি অনলাইনে যাওয়ার পর এখন এ গাছ রক্ষা পাবে বলেও মনে করছেন সুপ্রিম কোর্ট সূত্র।
এসব কারণে আর্থিক সাশ্রয়, পরিবেশ রক্ষা সর্বোপরি বিচারিক কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজড করতে অনলাইন কজলিস্ট চালু করা হচ্ছে।
এছাড়াও এ উদ্যোগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে আন্দোলন সেটাকে আরও বেগবান করবে এবং ভিশন’২০২১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও মনে করেন সুপ্রিম কোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর