বেনাপোল (যশোর): মুজিবনগর থেকে পিননিক শেষে বাড়ি ফেরার পথে যশোরের চৌগাছা সড়কে বাস উল্টে বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিহত নয় শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে র্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে।
বেনাপোল পৌরসভার আয়োজনে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্র, ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ এ শোক র্যালিতে অংশগ্রহণ ও নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্প অর্পণ করে।
পরে বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কোলমমতি শিক্ষার্থীদের সেদিনের সেই ভয়ঙ্কর মৃত্যুতে শুধু বেনাপোলবাসী নেয় কেঁদেছিল গোটা দেশ। নিহত শিশুদের যুগ যুগ ধরে মনে রাখতে বেনাপোল পৌরসভার উদ্যোগে স্কুলের সামনে নয়টি কবুতরের বুকে তীর বিদ্ধ করা একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি উদ্যোগে স্কুলের ভবনটি দ্বিতল করা হয়েছে।
এদিকে শিশুদের মৃত্যুর দু’বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত যেন শোক থামেনি নিহতদের পরিবারে। শোক বইছে শিক্ষকদের মাঝেও। বিশেষ করে আনন্দ উৎসবের দিন এলে নিহত শিশুদের কথা স্মরণ করে তাদের মন কেঁদে ওঠে। আর মৃত্যুবার্ষিকী এলে সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কথা মনে করে ছবি বুকে আঁকড়ে শোকে নিথর হয়ে পড়ে।
পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, হারিয়ে যাওয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ছিল উড়ান্ত পাখির মত। ওরাও একদিন বড় হয়ে দেশের সম্পদ হতে পারতো। সেদিন তাদের বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আঘাত এত গুরুতর ছিল যে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। যন্ত্রণা ভোগ করে তাদের সেই মৃত্যু খুব কাছ থেকে দেখেছি। যা কখনো ভোলার নয়। আমি চায় যুগ যুগ ধরে মানুষ তাদের স্মরণে রাখুক। তাই তাদের স্মরণে এ ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।
** বুকে তাদের তীর বিদ্ধ!
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
আরএ