ঢাকা: বাংলাদেশ কর্ম কমিশন’র (বিসিএস) ৩৬তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলের পুনর্মূল্যায়ণের দাবি করেছে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনুত্তীর্ণরা। পাশাপাশি পিএসসি’র কাছে ১২টি ভুল প্রশ্নের ব্যাখ্যা ও পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিও জানান তারা।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানী শাহবাগ এলাকায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এর আগে গণগ্রন্থাগারের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের আনুষ্ঠানিক কোনো কমিটি বা ফোরাম গঠন করা হয়নি এখনো।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলকে ‘নজিরবিহীন ঘটনা’ উল্লেখ করে শাওন রহমান বলেন, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে মাত্র ১৩ হাজার ৮৩০ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়েছে। অথচ ৩৬তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার পরীক্ষার্থী। যা ছিলো প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, ৩৬তম প্রিলিমিনারি প্রশ্নপত্রে ১২টি ভুল প্রশ্ন ছিলো। ভুল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে কোনো পরীক্ষার্থী যদি অনুত্তীর্ণ হয়ে থাকে- সে দায় পিএসসি’র। এই প্রশ্নগুলোর মূল্যায়ণ কিভাবে করা হয়েছে তা স্পষ্ট করা হোক।
তারেক বলেন, পিএসসি’র বিরুদ্ধে কোটা প্রথা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। যদিও পিএসসি বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে। তাছাড়া ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতির কারণে সাধারণ পরীক্ষার্থরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমরা এই কোটা প্রথা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
আন্দোলনকারীরা আরও জানান, ৩৩তম বিসিএস-এ ২৮ হাজার, ৩৪তম বিসিএস-এ ৪৬ হাজার পাঁচশো এবং ৩৫তম বিসিএস-এ প্রায় ২২ হাজার পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়। সে তুলনায় ৩৬তম বিসিএস-এ ২১৮০টি পদের বিপরীতে লিখিত পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয় ১৩ হাজার ৮৩০ জনকে।
তাদের দাবি, প্রজ্ঞাপিত পদে ১০গুন অথবা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশকে লিখিত পরীক্ষার জন্য সুযোগ দেওয়া হোক।
মানববন্ধন থেকে মঙ্গলবার ফের জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এমএইচপি/এটি