ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

এমপিরা সংসদেই সিম-রিম নিবন্ধন করতে পারবেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এমপিরা সংসদেই সিম-রিম নিবন্ধন করতে পারবেন

ঢাকা: দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে জাতীয় সংসদের সদস্যদের (এমপি) মোবাইল সিম-রিম যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাতীয় সংসদের ভেতর এমপিরা নবম অধিবেশন চলাকালে নিজেদের সিম-রিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন বা যাচাই করতে পারবেন।


 
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এমপিদের সিম-রিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী, হুইপ মাহবুব আরা গিনি, ডাক ও টেলিযোগ বিভাগের সচিব ফয়েজুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ প্রমুখ।
 
বক্তব্যে শেষে স্পিকার নিজের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের মাধ্যমে এমপিদের নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
 
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সিম-রিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার উদ্বোধনের প্রাক্কালে বলেন, আজ জনপ্রতিনিধিদের সিম-রিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে যাবে- আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের সিম-রিম নিবন্ধন করেছি, আপনারাও এই প্রক্রিয়া এগিয়ে আসুন।
 
এজন্য তিনি ডাক ও টেলিযোগ মন্ত্রণালয়কে প্রতিটি সংসদ সদস্যকে একটি চিঠির মাধ্যমে আহ্বান করার জন্য তাগিদ দেন, যেন এমপিরা তাদের নির্বাচনী এলাকায় এ ধরনের একটি ক্যাম্পেইন করে  সিম-রিম নিবন্ধন করতে পারেন।
 
নিরাপত্তার স্বার্থে সিম-রিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন স্পিকার। এর মধ্য দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক একটি কাজও এগিয়ে নেবে বলে মনে করেন তিনি।
 
স্পিকার বলেন, অনিবন্ধিত সিম-রিম এর অপব্যবহার আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা আমাদের বিব্রত অবস্থায় ফেলে দেয়।

এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সব নাগরিকদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধনের আহ্বান করেন স্পিকার।
 
সভাপতির বক্তব্যে তারানা হালিম বলেন, সিম-রিম নিবন্ধনে যে আঙুলের ছাপ রাখা হচ্ছে তা কোনো তথ্য ভান্ডারে সঞ্চিত থাকছে না। শুধুমাত্র এনআইডি’র সাথে মিলিয়ে গেলেই ছাপটি আর থাকছে না। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
 
তিনি আরও বলেন, আমরা এই প্রক্রিয়া ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে শুরু করি, পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজটি শুরু করার আগে আমাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়। আমরা দেখেছি একটি এনআইডি’র বিপরীতে ৬০ হাজার সিম বিক্রি হয়েছে। এই ৬০ হাজার সিম দিয়ে কি ধরনের অপরাধ সৃষ্টি হতে পারে তা দেশের মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এই সিম যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধিত হয়নি। তাই আমরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
 
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধনের জন্য সারা দেশে ১ লাখ ডিভাইস সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। যদিও এই প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে কিছুটা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে, মাঝে মাঝে ডিভাইসে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, মাঝে মাঝে নেটওয়ার্ক থাকে না। এসব ঝামেলা মিটিয়ে এখন সফলতার দিকেই এগুচ্ছি।
 
সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় সিম-রিম নিবন্ধন করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি কেউ এই কাজের জন্য টাকা নিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে টেলিটক থেকে একটি কোর্ড চালু করা হয়েছে ‘৯৮৭২’। এছাড়া বিটিআরসি’র মাধ্যমে একটি মোবাইল টিম গঠন করা হয়েছে, কোনো অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
 
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান জানান, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে গত শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ১ কোটি মানুষ বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এরমধ্যে মাত্র ৮৫ লাখ সিম-রিম পুনঃনিবন্ধন হয়েছে। অথচ আমাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি।
 
প্রসঙ্গত, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই শেষ হচ্ছে সিম-রিম নিবন্ধনের কাজ। এরপর অনিবন্ধিত সিম-রিম বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬/আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।