ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টে সম্পন্ন হয়েছে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহমুদুল ইসলামের জানাজা। এরপর তার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট গার্ডেনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন- আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সাবেক প্রধান বিচারপতি এম রুহুল আমিন, এম তাফাজ্জল ইসলাম ও মোজাম্মেল হোসেন, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মির্জা হোসেইন হায়দার, মো. নিজামুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, মওদুদ আহমদ, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের সহস্রাধিক আইনজীবী।
জানাজা শেষে তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন- প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও ঢাকাস্থ রংপুর আইনজীবী সমিতি।
এর আগে মাহমুদুল ইসলামের আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করে বক্তব্য দেন তার বড় ছেলে আসিফ ইসলাম।
সকালে মাহমুদুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দুপুর ১টা ও আপিল বিভাগে সকাল ১১টা পর বিচার কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি।
দেশের অন্যতম সেরা আইনজ্ঞ মাহমুদুল ইসলাম সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাহমুদুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। তার লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘কনস্টিটিউশনাল ল’ অব বাংলাদেশ’ ও ‘ইন্টারপ্রিটেশন অব স্ট্যাটিউটস অ্যান্ড ডকুমেন্টস’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
ইএস/আরএম