খুলনা: ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন খুলনাবাসী।
হাদিস পার্কে প্রবেশের মূল গেটে বসানো হচ্ছে দু’টি আর্চওয়ে। স্থাপন করা হচ্ছে কমপক্ষে ৮টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এসব ক্যামেরা পরিচালনার জন্য পার্কের মধ্যে থাকবে একটি মিনি ক্যাম্প। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পার্কের ভেতরে ও বাইরের বিভিন্ন দৃশ্য মনিটরিং করা হবে। প্রয়োজনমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও থাকবে সাদা পোশাকধারী পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২১ ফেব্রুয়ারির দিন শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে আসা মানুষের নিরাপত্তায় সর্ব্বোচ্চ সতর্ক থাকবে পুলিশ।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে হাদিস পার্ক শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ। খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাস শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগর ভবন, কেসিসি’র খালিশপুর শাখা অফিস, পাবলিক হলসহ সব ওয়ার্ড অফিস ও কেসিসি পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
এছাড়া সকাল ৯টায় নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্লে থেকে নার্সারি ‘ক’ বিভাগ, ১ম ও ২য় শ্রেণি ‘খ’ বিভাগ এবং তৃতীয় থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘গ’ বিভাগ হিসেবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন।
কেসিসির নিরাপত্তা সুপার আলমগীর কবির বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, শহীদ বেদী ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো পার্ক হকারমুক্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা,ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস