জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দেশ-বিদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে সংসদে একটি বিল পাস করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট বিল- ২০১৬ নামের ওই বিলে ৮৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার তহবিল পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
যদিও বিলটিতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, রওশন আরা মান্নান, আব্দুল মতিন ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমসহ কয়েকজন ৯টি সংশোধনী প্রস্তাব দেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে নিজেদের সংশোধনীর প্রস্তাবের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন তারা।
ফখরুল ইমাম সংশোধনী প্রস্তাবে বলেন, বিলে টাকা ব্যয়ের বিষয় জড়িত থাকার পরও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বিলের দুই জায়গায় দু‘নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিলটি পাস করা হলে অকার্যকর বলে গণ্য হবে। বিলগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাস করা উচিত।
পাসকৃত বিলে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ও মন্ত্রলায়ের সচিব এই ট্রাস্ট্রের প্রধান ও সদস্য সচিব হবেন।
তথ্য, শিক্ষা, অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের প্রতিনিধিরা ট্রাস্ট্রের সদস্য থাকবেন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ প্রসঙ্গে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ ও বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন বিজ্ঞানী প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১০ সালোর জুলাই মাস থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সাইন্স অ্যান্ড আইসিটি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রদানের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় আইনটি অনুমোদন পায়।
আইনটিতে সরকারি অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী বিলটিতে রাষ্ট্রপতির সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এসকে/এসএম/এমএ
** বিনিয়োগের জন্য বড় বড় দেশ লাইন দিচ্ছে