ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ৬০ বছর বয়সী অজ্ঞাত-পরিচয় এক বৃদ্ধ ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর রেলওয়ে থানা পুলিশ বৃদ্ধকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও (রাত ১০টা) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই পড়ে ছিল তার মরদেহ।
আখাউড়া থানা ও রেলওয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি একে অপরের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। এতে করে উদ্ধার হয়নি মরদেহটি।
আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যুর পাঁচ/ছয় ঘণ্টা পর থেকেই মরদেহে পচন ধরে। এ অবস্থায় মরদেহটি অতিদ্রুত উদ্ধার না করা হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টেকা দায় হয়ে পড়বে। এভাবে মরদেহ উদ্ধার নিয়ে তালবাহানার বিষয়টিকে চরম পর্যায়ের অমানবিক বলেও আখ্যায়িত করেন তারা।
আখাউড়া রেলজংশন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট জানান, গত কয়েকদিনে সংশ্লিষ্টরা ওই বৃদ্ধের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে বৃদ্ধ অস্পষ্ট ভাষায় নিজের নাম জয়নাল বলে জানিয়েছিল।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, আখাউড়া থানা ও রেলওয়ে থানা পুলিশের কেউ মরদেহটির দায়িত্ব নিতে চাইছে না। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থেকে মরদেহে পচন ধরতে শুরু করেছে।
জানতে চাইলে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার বলেন, যেহেতু এটি রেলওয়ের দুর্ঘটনা নয় কিংবা হাসপাতাল এলাকাও রেলওয়ের আওতাভুক্ত নয় সে কারণে মরদেহটি আমরা উদ্ধার করতে পারিনা।
তবে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার বলেন, আইন অনুযায়ী শুরুর ঘটনাস্থল যেখানে সেখানকার পুলিশ এর দায়িত্ব নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমজেড