বরগুনা: বরগুনা জেলায় বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে ইজতেমা। ইতোমধ্যেই ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন মুসল্লিরা।
হাজারো মুসল্লির আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠছে রাতের ইজতেমা ময়দান। রাত পোহালেই ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। বাদ জোহর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা হবে ইজতেমার।
ইজতেমা মাঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুরো ময়দানকে নিয়ে আসা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট, রয়েছে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার, মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি ইজতেমা ময়দানে রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাখা হয়েছে রিজার্ভ ফোর্স।
এছাড়াও ইজতেমা ময়দানে আসা মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প। সেখানে মুসল্লিদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে।
টঙ্গী থেকে ইজতেমায় এসেছেন আনোয়ার। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম সাগরপাড়ের উপকূলীয় জেলায় ইজতেমায় অংশ নিতে যাচ্ছি, কেমন অবস্থা হবে এই চিন্তা ছিল। কিন্তু এখানে এসে আমার ধারণাই পাল্টে গেছে। পুরো ইজতেমা ময়দানকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরেক মুসল্লি বারেক হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, এতো দূরে এসে মনের মধ্যে যে সংশয় ছিল তা হারিয়ে গেছে, এখানে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। এখানকার আয়োজকরা খুব সুন্দরভাবে ইজতেমার আয়োজন করেছেন।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য ও ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের জিম্মাদার আবদুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে ১৮ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মুরব্বিদের আসতে দেরি হওয়ায় তা জোহরের নামাজের পর শুরু হবে।
তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠে পুলিশের পক্ষ থেকে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এজন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
পুলিশের পাশাপাশি এখানে ইজতেমা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে একটি সেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের খেয়াল রাখবেন বলে জানান তিনি।
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) বিজয় বসাক বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজতেমা মাঠে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তা বিধানে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমজেড