গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার শিমুলিয়া ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট-প্লেট পরিষ্কার ও চুলের উকুন তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিক্ষুদ্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয় ঘেরাও করে অভিযুক্তদের অপসারণ দাবি করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফুয়ারা আবেদিন, সহকারী শিক্ষিক রেহেনা বেগম ও নাজমা বেগম।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম ও শাহাৎত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষক কোমলমতি শিশুদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। তাদের দিয়ে খাবার প্লেট ও টয়লেট পরিষ্কার করিয়ে নিচ্ছেন।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুছা মিয়া ও জাহিদ হাসান বলে, ওই তিন ম্যাডাম আমাদের দিয়ে চুলের উকুন বাছিয়ে নেন। শিক্ষকরা বলেন, উকুন তুলে দিলে পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়া হবে। কথা না শুনলে ফেল করিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, বুধবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে ক্লাস্টারের মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অভিভাবক ও এলাকাবাসীর চাপের মুখে তারা বিদ্যালয়ে মিটিং করতে না পেরে পাশের শিমুলিয়া ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে মিটিং করাকালে বিক্ষুব্ধরা ওই বিদ্যালয় ঘেরাও করেন।
মিটিং-এ পলাশবাড়ী উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এটিএম জাকির হোসেন ও পলাশবাড়ী উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইনস্ট্রাক্টর সোহেল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে ইনস্ট্রাক্টর সোহেল মিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে অসাদাচরণ করেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এটিএম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
আরএ