ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

গণমাধ্যম দমন ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ, মন্তব্য শত নাগরিকের

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
গণমাধ্যম দমন ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ, মন্তব্য শত নাগরিকের

ঢাকা: গণমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়ন ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছে শত নাগরিক জাতীয় কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কমিটির সদস্য সচিব আবদুল হাই শিকদারের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।



বিবৃতিদাতারা হলেন- অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ (কমিটির আহ্বায়ক), সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞা, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলাহ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাদেক খান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুব উল্লাহ, মাহফুজ উল্লাহ, শফিক রেহমান, প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, রুহুল আমিন গাজী, আবদুল হাই শিকদার (কমিটির সদস্য সচিব), ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড. ওয়াকিল আহমেদ, ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান, ড. সদরুল আমিন, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, শামসুদ্দিন হারুন,  এম আব্দুল্লাহ, এম এ আজিজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কাদের গণি চৌধুরী, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আ ন হ আখতার হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, প্রফেসর আ কা ফিরোজ আহমদ, ড. আখতার হোসেন খান, ড. মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (মালয়েশিয়া), প্রফেসর ইশাররফ হোসেন (মালয়েশিয়া), ড. কে এম এ মালিক (যুক্তরাজ্য), শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ (আয়ারল্যান্ড), আতিকুর রহমান সালু (যুক্তরাষ্ট্র), জয়নাল আবেদিন (যুক্তরাষ্ট্র), মঞ্জুর আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র), আবদুল্ল‍াহিল বাকী (ফ্রান্স), তমিজ উদ্দিন (ইতালি), ড. মোবাশ্বের মোনেম, ড. আবুল হাসনাত, ড. এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী, প্রফেসর ড. আজহার আলী, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. খলিলুর রহমান, ড. সাহিদা রফিক, ড. মো. হায়দার আলী, প্রফেসর এ কে এম আজহারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর কে এ এম শাহাদাত হোসেন মন্ডল, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, প্রকৌশলী কাজী এম. সুফিয়ান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন মিঞা, প্রফেসর ড. মোখলেছুর রহমান, প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া,  ড. বোরহান উদ্দিন খান, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. লায়লা নুর ইসলাম, ড. ইয়ারুল কবির, ড. মামুন আহমেদ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. সামসুল আলম, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, কবি হাসান হাফিজ, কবি আবু সালেহ, রেদোয়ান হোসেন, বাছির জামাল, এ কে এম মহসিন, মির আহমেদ মিরু, ড. লুৎফর হমান, ড. তাসলিমা মানসুর, ড. মোরশেদ হাসান খান, ড. মো. মোজাম্মেল হক, ড. মাহফুজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন, প্রফেসর শাহ হাবিবুর রহমান, প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর আসমা সিদ্দিকা, ড. সৈয়দা আফরোজা মামুন, কৃষিবিদ আনোয়ারুনবী বাবলা, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন,  প্রফেসর মো. শহিদুর রহমান, প্রফেসর এনামুল হক, প্রকৌশলী কাজী মো. সুফিয়ান, ড. মোহসিন জিল্লুর করিম, প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ, প্রকৌশলী মমতাজ আহমেদ, প্রকৌশলী আল আমিন, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ একরামুল হক,  অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, রাশেদুল হাসান হারুন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক, অধ্যাপক শাহনাজ সরকার রানু, মোহাম্মদ মাফরুহি সাত্তার,  প্রফেসর সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, প্রফেসর আতিকুর রহমান, প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন, প্রফেসর আ ক ম আবদুল কাদের, প্রকৌশলী মো. মাহফুজ, প্রকৌশলী মো. মালেক, প্রকৌশলী কাজী মেজবাহ, প্রকৌশলী মোসলেহউদ্দিন, প্রকৌশলী আল আমিন, ডা. ইফতেখার লিটন, ডা. বেলায়েত হোসেন, ডা. আবদুল মোতালেব, ডা. জসিম উদ্দিন, ডা. বদিউল আলম, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, প্রকৌশলী মাসুদুল হক খান, প্রকৌশলী হাসান পারভেজ, প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ড. মো. গোলাম আরিফ কেনেডি, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আ ন ম মুনীর আহমেদ চৌধুরী, সামশুল হক হায়দরি, জাহিদুল করিম কচি, ইসকান্দার আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, ডা. মোহাম্মদ ঈসা, ড. মো. মিজান, প্রকৌশলী সাব্বির মোস্তফা খান, ডা. এ এ গোলাম মুর্তজা হারুন, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, ডা. আশরাফুল কবীর ভূঁইয়া, ডা. শাহাদাত হোসেন, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, মনির খান, রিজিয়া পারভীন, রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, জাকির হোসেন, শরফুজ্জাম‍ান জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও রফিক মোহাম্মদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নির্ভীক’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি না দেওয়া, ডেইলি স্টার বন্ধ ও এর সম্পাদক মাহফুজ আনামকে গ্রেফতারের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গণমাধ্যমের প্রতি সরকারি দলের সদস্যদের অব্যাহত আক্রমণের ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

শত নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমের ওপর সরকার ও সরকার দলীয় সদস্যদের অব্যাহত আক্রমণে আমাদের মনে হয়, সরকার মূলত ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করতেই অব্যাহতভাবে গণমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ সব মামলায় জামিন পাওয়া সত্ত্বেও তাদের মুক্তি দিচ্ছে না। সারাদেশে অন্যায়ভাবে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ হয়রানিমূলক মামলার হিড়িক চলছে। এছাড়া, সারাদেশে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর অব্যাহতভাবে সরকার দলীয় সদস্যদের হামলা-আক্রমণ চলছে। সরকার ও সরকার দলীয় কর্মীদের এই আচরণ ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া অন্য কিছু নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি ‘নির্ভীক’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি না দেওয়া সরকারের মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থাকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করার শামিল।

‘আমরা আরও মনে করি, ডেইলি স্টার বন্ধ, সম্পাদক মাহফুজ আনামকে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন মামলা দায়ের স্বাধীন গণমাধ্যম নীতিরও পরিপন্থি। এ ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য মোটেও ইতিবাচক নয়। এতে মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পরিশেষে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে আমরা অনতিবিলম্বে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ ও ইটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালামের মুক্তি দাবি করছি। একইসঙ্গে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ’

একইসঙ্গে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।