ঢাকা: দোকানিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, ফুটপাতে চুলা বসিয়ে বা যেকোনো ভাবে এক ইঞ্চি জায়গায়ও দখল করবেন না। করলে দোকান বন্ধসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএনসিসি-এর আঞ্চলিক কার্যালয়-৪ (মিরপুর) এ এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘৭দিনে পরিষ্কার আমাদের প্রিয় শহর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মেয়র আনিসুল হক বলেন, ফুটপাতের এক ইঞ্চি জায়গাও দখল করবেন না। কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া আছে। প্রথমে বুঝাবেন, না মানলে কাউন্সিলদের নিয়ে ওয়েল্ডিং করে দোকান বন্ধ করে দেবেন।
‘ফুটপাত সাধারণ মানুষের, সাধারণ মানুষ হাঁটবে। আপনি দোকান নিয়েছেন, দোকানের মধ্যে থাকেন। আগামী ১০ মাসের মধ্যে ফুটপাতের মধ্যে দোকানের বর্ধিতাংশ আর সহ্য করা হবে না। ’
ফুটপাতের হকারদের প্রতি নিজের সহানুভূতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের চাওয়া, আপনারা ফুটপাত ছেড়ে দিন। আমরা আপনাদের অন্য কোথাও বসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।
আসছে এপ্রিলের মধ্যে মূল রাস্তার ফুটপাতমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি-এর মেয়র।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে কাউন্সিলর, স্থানীয় প্রতিনিধি, নগরবাসী ও সাধারণ মানুষকে এগিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্নকর্মী, কর্মকর্তা, কাউন্সিলরা নগরবাসীকে সেবা দিচ্ছেন, তাদের সম্মান দিন।
ফ্লাইওভার ও দেয়াল লিখন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ফ্লাইওভার, দেয়ালে অনেক কোম্পানি, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপণ দিচ্ছেন। দয়া করে চলতি মাসের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সেগুলো মুছে ফেলুন।
‘যদি না মুছা না হয়, সেক্ষেত্রে ১ মার্চ থেকে মেয়র আপনাদের অফিসে যাবে, তখন দেখবেন- লজ্জা কাকে বলে? কোনো ফ্লাইওভার বা দেয়ালে আমরা লিখতে দেবো না। এজন্য আপনাদের ১৪দিন সময় দেওয়া হলো,’ বলেন তিনি।
মেয়র আনিস বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে পেরেক দিয়ে সাইনবোর্ড লাগানো হচ্ছে। পরিচ্ছন্নকর্মীসহ সবাই এগুলো খুলে ফেলছেন। এরপরও এ ধরনের সাইনবোর্ড লাগালে ছবি তুলে নম্বরসহ সিটি করপোরেশনে দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি এক সপ্তাহের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক সপ্তাহে পুরো শহর পরিষ্কার করা যাবে না। তবে বেশিরভাগ রাস্তা ও এলাকা মোটামুটিভাবে পরিষ্কার হয়েছে।
আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন প্রসঙ্গে মেয়র আনিসুল হক বলেন, বর্জ্য-আবর্জনা ফেলার ৭২টি মিনি ট্রান্সফার স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ। এগুলো চালু হলে আগামী এক থেকে দু’মাসের মধ্যে রাস্তায় বর্জ্য থাকবে না।
এজন্য নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম ফেরদৌস, আঞ্চলিক কর্মকর্তা (মিরপুর) দুলাল সিংহ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, মোবাশ্বের হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
আরইউ/এমএ