সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠার ৩ দিন পর সোর্সের মাধ্যমে ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশের সোর্স ও কথিত সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের মাধ্যমে ঘুষের ৩০ হাজার টাকা ফেরত পান ভুক্তভোগী।
এরআগে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের মামুন হোসেন নামে এক যুবকের বাড়িতে ইয়াবা উদ্ধার অভিযানের নামে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় মামলা ও গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন সোর্স হাফিজুর ও এসআই মামুন।
ভুক্তভোগী যুবক মামুন হোসেন জানান, মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। পরে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ও ১০ হাজার টাকার পরে দেওয়ার কথা বলে তিনি ছাড়া পান।
মামুন জানান, পুলিশের সোর্স হাফিজুল তার ভগ্নিপতি। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে তিনি পুলিশ এনে নাটক সাজিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মামুনের খালা জয়বন বেগম জানান, শনিবার দুপুরে পুলিশের কর্মকর্তারা বাড়ি এসে টাকা ফেরত দিয়েছেন।
অভিযুক্ত এসআই আল-মামুন বলেন, ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় আমি জড়িত নই। পুলিশের ভয় দেখিয়ে সোর্স হাফিজুর ওই টাকা গ্রহণ করতে পারেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের ভয় দেখিয়ে সোর্স হাফিজুর মামুন নামে ওই যুবকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছেন হাফিজুর।
তবে ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে এসআই আল-মামুনের সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
এসআর