খুলনা: শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি যেন রুক্ষ হয়ে উঠছে। চেপে বসেছে ভ্যাপসা গরম।
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানগুলোতে সিলিং, টেবিল, স্ট্যান্ড ও চার্জার এ চার ধরনের ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। তবে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন দোকানদাররা।
ফ্যান ছাড়াও গরমের প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির ফ্রিজের দোকানেও ভিড় করছেন ক্রেতারা। এসবের মধ্যে দেশীয় ওয়ালটন, সিঙ্গার, স্যামসাং, র্যাংগস, হিটাচি, মাইওয়ানের চাহিদা বেশি।
ব্রিক্রেতারা জানান, হঠাৎ গরমে বেড়েছে শীতল যন্ত্রের বিক্রি। এয়ার কন্ডিশন (এসি), রেফ্রিজারেটর ও ফ্যান কিনতে শো রুমগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। একই সঙ্গে আইপিএসের কদর বেড়েছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা থেকে ডাকবাংলোর মোড়ে ফ্যান কিনতে আসা মো. হাসান জানান, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে লোডশেডিং। গরমে স্বস্তিতে থাকতে তাই এখন চার্জার ফ্যানের প্রয়োজন। এ কারণে ফ্যান কিনতে আসা।
তিনি অভিযোগ করেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম বেশি।
বয়রা এলাকা থেকে ওয়ালটনের শো রুমে ফ্রিজ কিনতে আসা মকসুদুর রহমান বলেন, গরমে স্বস্তির জন্য ফ্রিজের বিকল্প নেই। তাই গরম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজ কিনতে আসা।
ওয়ালটন প্লাজা সোনাডাঙ্গা শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শাহারুল ইসলাম শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজকে বলেন, প্রকৃতি রুক্ষ হওয়ায় একটু স্বস্তির জন্য ফ্যান কিনতে মানুষ ছুটে আসছেন শো রুমে।
তিনি দাবি করেন, ফ্রিজ বিক্রিতে ওয়ালটন এখন শীর্ষে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, আবহাওয়া এবং ক্রেতাদের রুচি ও চাহিদা বিবেচনা করে ওয়ালটন ফ্রিজ তৈরি করে। সেসঙ্গে পণ্যের গুণগত উচ্চমানের কারণেই ক্রেতারা ওয়ালটন ফ্রিজ কিনছেন।
ওয়ালটন এসিরও কাটতি ভালো, বলেন তিনি।
মডার্ন ফার্নিচারের মোড়ের সিয়াম ইলেকট্রনিক্সের মালিক মতিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গরমে প্যারাডাইসের ৫৬ ইঞ্চি ফ্যান ভালো চলছে। একই সঙ্গে ফ্রিজেরও চাহিদা বেড়েছে।
বেশ কয়েকটি শো রুমের বিক্রেতারা জানান, হঠাৎই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় যোগানে টান পড়েছে। অনেকেরই এসির স্টকও ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস