বেনাপোল (যশোর): নজরকাড়া আয়াজনের মধ্য দিয়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া মুছে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের চেকপোস্ট সংলগ্ন নোম্যান্সল্যান্ডে শুরু হয়েছে দুই বাংলার যৌথ মহান একুশে উদযাপন।
অনুষ্ঠানের অনলাইন মিডিয়া পার্টনার দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে অনুষ্ঠানে বেনাপোলসহ যশোরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলে দলে ভাষাপ্রেমী বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা,কর্মী ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন।
ভাষার টানে শ্রদ্ধা জানাতে ওপার সীমান্তেও একই ভাবে জড়ো হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভাষাপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠনের নারী-পুরুষ ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা।
কারো হাতে পতাকা, কারো হাতে ফেস্টুন। কপালে প্লেকার্ড, বুকে কালো ব্যাচ।
আজ যেন একুশের ব্যথা শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তাই চোখে মুখে সবার আনন্দ অশ্রু। সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিজিবি-পুলিশ ফুল দিচ্ছে বিএসএফের হাতে। মাইকে বাজছে, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ সহ একুশের অন্যান গান,কবিতা ও আবৃত্তি।
সব মিলিয়ে যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে নোম্যানসল্যান্ড।
মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১০ টায়। এ সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে দু’বাংলার আমন্ত্রিত ভাষাপ্রেমী অতিথিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে ভারতীয় আমন্ত্রিত অতিথিরা আসবেন এপারের মঞ্চে। বাংলাদেশিরাও যাবেন ওপারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ২১ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০১৬
আরআই
** মাতৃভাষার টানে দুই বাংলার মিলনমেলা বেনাপোলে