চট্টগ্রাম: বাঁশখালীর সাগর উপকূলীয় গণ্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে মিছিল বের করলে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
রাত পৌনে ১০টার দিকে যোগাযোগ করলে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন না করার দাবিতে স্থানীয় একটি পক্ষ মিছিল বের করলে অপর একটি পক্ষ বাধা দেয়। থবর পেয়ে আমরা পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। কিন্তু গুলি ছোড়ার কোনো খবর পাইনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আমি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধী পক্ষকে বলেছি, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রপার ওয়েতে আসার জন্যে। তারা যাতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেন।
বসতভিটা রক্ষা কমিটির নেতা মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে টেলিফোনে বলেন, আজ কয়লা বিদ্যুৎ বিরোধী ছাত্রজনতার মিছিলে অন্তত ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে কেউ হতাহত হননি। আমি গুলির খোসার ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি।
তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপ শিল্পকারখানা করবে বলে জায়গা নিয়েছিল। এখন তারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইছে। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় বিদুৎ কেন্দ্রটি হলে বায়ুদূষণের কারণে আশপাশের ৫০ হাজার মানুষ বসতভিটা হারাবে। একটি জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাঁশখালী থানার ওসি বলেন, আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে ইস্যু করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
সূত্র জানায়, বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে দেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগটি হচ্ছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা পশ্চিম বড়ঘোনায়। চায়না সেবকো এইচটিজির সঙ্গে যৌথভাবে ৬০০ একর জমির ওপর ২০ হাজার কোটি টাকার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে এস আলম গ্রুপ। কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭০ শতাংশের মালিকানা চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের। ৩০ শতাংশের মালিকানা থাকবে দুটি চীনা প্রতিষ্ঠানের।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৬
এআর/টিসি