সাভার (ঢাকা নর্থ ব্যুরো): আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে রাজধানীর অদূরবর্তী সাভারসহ সারাদেশে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে কোরবানির পশুর বেচা-কেনা।
এ উপলক্ষে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে শিডিউল বিক্রয় ২৮ আগস্ট শুরু হয়। ৩১ আগস্ট ২০১৬ এর শেষ তারিখ ধার্য করা হয়। উক্ত শিডিউল বিক্রয়কে কেন্দ্র করে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অফিস সহকারি মো:শাহজানের কাছে শিডিউল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সর্ব মোট ২৩টি লটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গরু বিক্রয়ের কথা জানান। প্রতিটি লটে তিনটি করে মোট ৬৯টি গরু বিক্রয়ের কথা বলেন তিনি। এছাড়া আর কোনো লট এবার বিক্রয় হবে না বলেও জানান তিনি।
তিনি দাবি করেন, ‘‘এখানে নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করা হচ্ছে। শিডিউল বাছাই প্রক্রিয়াতে স্বয়ং সাংসদ অথবা তার মনোনীত ব্যক্তি থাকবেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিডিউল-ক্রেতা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে বলেন,‘‘এখানে আরো চারটি শিডিউল গোপন রাখা হয়েছে। সেগুলোকে বলা হচ্ছে ‘‘ভিআইপি শিডিউল’’। এগুলো অবৈধভাবে কিছু ভিআইপির জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। কিন্তু কারা সেইসব ভিআইপি--এই কোনো উত্তর কারো জানা নেই। ’’
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ডিপুটি ডাইরেক্টর(ডিডি)নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘আমাদের এখানে কোনো প্রকার ‘‘ভিআইপি লট’’ রাখা নেই।
তবে মোট লটের সংখ্যা জানতে চাওয়ার পর তিনি অকপটে তিনি লটের সংখ্যার গড়মিলের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘‘আসলে মোট ২৭টি। ’’
‘‘তাহলে মো. শাহজাহান কেন ২৩টি লটের কথা বললেন?’’ ---এই প্রশ্ন করা হলে ডিডি)নিজাম উদ্দিন শাহজাহানের বয়সের অজুহাত তুলে বলেন, ‘‘শাহজাহানের বয়স হয়েছে। তাই তিনি হয়তো ভুলভাল বলে ফেলেছেন। ’’
শাহজাহানের দেওয়া তথ্যটি সত্য নয় বলে দাবি করেন ডিডি। তবে তিনি দাবি করেন, ‘‘ভিআইপি লট’’ সম্পের্কে তিনি কিছুই জানেন না।
এবিষয়টি নিয়ে ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ ডা.এনামুর রহমানের পিএস মো: শামিম বাংলানিউজকে বলেন,’’সংসদ সদস্য বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। ’’
তিনি এ বিষয়ে কাউকে মনোনীত করেছেন কিনা বা নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা তা তার জানা নেই।
উল্লেখ্য, একটি জাতীয় দৈনিকে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার কর্তৃপক্ষ ২৩ আগস্ট শিডিউল বিক্রির বিষয়ে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু কোন তারিখ থেকে শিডিউল বিক্রি শুরু হবে তার কোনো উল্লেখ সেই বিজ্ঞাপনে নেই।
শিডিউল ক্রেতাদের অভিযোগ, অনিয়ম করার জন্যই বিজ্ঞাপনে এই শুভঙ্করের ফাঁকিটি রাখা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কয়েকজন কর্মকর্তাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরই এমন অনিয়ম করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৬ ঘন্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৬
জেএম