ঢাকা, সোমবার, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুরে ২১ বছরে ৭ হাজার ৯শ’ তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
চাঁদপুরে ২১ বছরে ৭ হাজার ৯শ’ তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষিত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চাঁদপুর: যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২১ বছরে ‍চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় বেকার ৭ হাজার ৯০৬ তরুণ-তরুণী ইলক্ট্রনিক্স, ইলেক্ট্রিক, হাউজ ওয়ারিং, পোশাক তৈরি, কম্পিউটার, মৎস্য, গবাদি পশু ও  হাঁস-মুরগি পালনে প্রশিক্ষিত হয়েছেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসব তরুণ-তরুণীরা নিজ নিজ এলাকায় এখন ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

সম্প্রতি চাঁদপুর যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এসব তথ্য জানা যায়।

যুব উন্নয়ন অধিদফতর চাঁদপুর জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হওয়ার পর থেকে বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। তবে এখন প্রশিক্ষক ও জনবল সংকটের কারণে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে।

যুব উন্নয়ন অধিদফতর চাঁদপুরের উপ-পরিচালক দায়িত্ব পালন করছেন চার গুরুত্বপূর্ণ শূন্য পদের বিপরীতে।

বর্তমানে জেলা কার্যালয়ে ১২ জনের মধ্যে জনবল রয়েছে সাতজন। এর মধ্যে সহকারী পরিচালক দুইজন, উচ্চমান সহকারী একজন, জুনিয়র প্রশিক্ষক (সেলাই) একজন, অফিস সহায়ক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।

কারিগরী প্রকল্পে আটজনের মধ্যে জনবল আছে ছয়জন। প্রশিক্ষক ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড হাউজ ওয়ারিং ও সহকারী প্রশিক্ষক ইলেক্ট্রনিক্স পদ শূন্য রয়েছে।

যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালন বিষয়ে যারা এখান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাদের অধিকাংশই বেকার তরুণ-তরুণী। তারা অনেকেই প্রশিক্ষণের সনদ দিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পশু পালন ও হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তুলছেন। মূলত প্রশিক্ষণ গ্রহণের কারণে এসব তরুণ-তরুণীদের মধ্যে হতাশা দূর হয় এবং তারা কর্মমূখী হয়ে উঠে।

কৃষি ও মৎস্য বিষয়ের প্রশিক্ষক গোলাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করি। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সনদ গ্রহণ করে আর কাজে লাগায় না। আবার কিছু যুবক প্রশিক্ষণ শেষে তা কাজে লাগিয়ে নিজের এবং পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন।

চাঁদপুর যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক খান বাংলানিউজকে বলেন, বেকারত্ব দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলেন। বেকার তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এ জেলার অনেক যুবকের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি আমরা এখন সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসকারীদের প্রশিক্ষিত করে তুলছি। তবে জনবল সংকট থাকার কারণে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। জনবল সংকট বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এসব সংকট কাটিয়ে উঠলে জেলা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য পালনে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
আরবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।