চাঁদপুর: চলতি বছরের আগস্ট মাসে অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ৯ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলার ১৩ হাজার ৫৩৫ কৃষক গত জুনে রোপা আমন রোপণ করেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর চাঁদপুর জেলায় রোপা আমন লাগানো হয় ২৪ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৯ হাজার, ফরিদগঞ্জে ৭ হাজার ৯০ হেক্টর ও হাইমচরে ৮ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬৩৩, ফরিদগঞ্জের ১১৬৮ ও হাইমচরের ৮০০ হেক্টর জমির রোপা আমন নষ্ট হয়ে গেছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলী হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ৫শ’ কৃষককে ভুট্টা, সরিষা, গ্রীষ্মকালীন মুগের বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। আশ করা যাচ্ছে এসব বীজ ও সার কাজে লাগিয়ে কৃষকরা কিছুটা হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নরেশ চন্দ্র দাস জানান, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকার মধ্যে সদর ও হাইমচর উপজেলায় পানি নিস্কাশন বাঁধাগ্রস্থ হওয়ার কারণে রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে অন্যান্য উপজেলায় রোপা আমন ভালো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
এজি