ঢাকা: মারাত্মক যান সংকটে সকালে গণপরিবহনে উঠতে এক ধরনের যুদ্ধই করতে হয় নগরবাসীকে। অফিস সময়ে তিল ধারণেরও ঠাঁই থাকে না এসব গণপরিবহনে।
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া ওভারব্রিজের নিচে বাসের জন্য যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। কয়েকটি বাস এলেও মিরপুর-১০ নম্বর থেকেই যাত্রীতে ঠাসা ছিল। প্রয়োজনের তাগিদে এর মধ্যেই ওঠার চেষ্টা করছিলেন অনেকে।
অনেক যাত্রীর ভিড়ে বাসে ওঠার চেষ্টায় বার বার ব্যর্থ হচ্ছিলেন গর্ভবতী জান্নাতুল ফেরদৌস ঋতুও। তিনি লালমাটিয়া মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষার আসন পড়েছে ইডেনে। বেলা ১১টায় পরীক্ষা। সঠিক সময়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে সকাল ৯টা থেকেই বাসে ওঠার যুদ্ধ করছিলেন ঋতু।
শেষ পর্যন্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ইডেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয় সন্তানসম্ভবা ঋতুকে। তার আকুতি শোনেনি নগরীর গণপরিবহন।
বাংলানিউজকে ঋতু বলেন, ‘আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। অনেকক্ষণ পর পর বাস এলেও উঠতে পারছি না। অনেক মানুষের ভিড়ে বাসে ওঠা আমার জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে’।
কাজীপাড়া ওভারব্রিজের নিচে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আবুল কালাম আজাদ(৬৫)। সঙ্গে স্ত্রী সাহানারা খাতুন ও ছোট মেয়ে নওরীন আজাদ। মহাখালীতে বড় মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। প্রায় ৫০ মিনিট চেষ্টা করেও কাজীপাড়া থেকে মহাখালীগামী বাসে উঠতে পারেননি তারা। কয়েকটি বাস এলেও ওঠার মতো পরিবেশ নেই।
আবুল কালাম বলেন, ‘বাসে পরিবার নিয়ে উঠতে পারছি না। সব বাসেই মানুষ ভর্তি’।
কথিত সিটিং সার্ভিস বন্ধেরও দাবি করেন যাত্রীরা। এসব ‘সিটিং সার্ভিস’ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ তাদের।
কাজীপাড়া থেকে কলাবাগান যাবেন আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে সিটিং সার্ভিস তুলে দেওয়া দরকার। এসব বাস সকালে সিটিং, বিকালে লোকাল। যাত্রী সংখ্যা বিবেচনা করেই সিটিংয়ের নামে চিটিং করছে। ভাড়াও অতিরিক্ত আদায় করছে। ঢাকা শহরের সব সিটিং সার্ভিস তুলে দিয়ে লোকাল করলে আমাদের জন্য ভালো হয়’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর