বেনাপোল(যশোর): বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা ১৩০ মেট্রিকটন মার্বেল ও গ্রানাইট পাথরের ১০ ট্রাকের একটি চালান দুইদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে আটক দেখিয়েছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এ পণ্যের চালানটিতে ৬৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক এইচ এম শরিফুল হাসান।
আটককৃত পণ্যের আমদানিকারক যশোরের হোটেল জাবের প্যারাডাইস লিমিটেড। যার মালিক যশোর জেলা আ.লীগের এক নেতা। পণ্যটি কাগজপত্র জমা দিয়ে কাস্টমস থেকে ছাড় করায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেঙ্গল এজেন্সি। বাংলাদেশ-ভারত ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার অব কমার্সের সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের কর্মচারীরা এ চালানটি খালাস করে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যের চালানটি পরীক্ষা ছাড়াই অবৈধ সুবিধা নিয়ে ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে খালাসের অনুমতি দেয় বলে জানা গেছে।
এর আগে, সোমবার (০৭ নভেম্বর) মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে সেলেট স্টোন নাম দিয়ে ১৩০ মে.টন মার্বেল ও গ্রানাইট পাথর আমদানি করা হয়। পরে মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাস্টমস সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হারুনর রশিদ ও খন্দকার মেজবা উদ্দিনসহ কয়েকজনের স্বাক্ষরে পণ্যটি পরীক্ষা ছাড়াই ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে খালাস করা হয়। যা জানতেন কাস্টমসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়টি গোপনে জানতে পেরে কাস্টমস গোয়েন্দা সদস্যরা বুধবার (০৯ নভেম্বর) বন্দর থেকে খালাস হওয়া ১০টি বাংলাদেশি ট্রাক পাথর জব্দ করে। পরে দুইদিন ধরে কাস্টমস, কাস্টমস গোয়েন্দা ও সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্ট সেল নামে ৩টি সংস্থার উপস্থিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা প্রমাণিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
পিসি/
***বেনাপোলে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ১০ ট্রাক পাথর জব্দ