ঢাকা: যানজট শব্দটি রাজধানীর সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। আর এ যানজট শুধু রাজধানীর মূল সড়কে নয় অলিতে-গলিতেও লেগে থাকে প্রতিনিয়ত।
রাজধানীর নর্দ্দায় যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন আনসার সদস্য আলী হোসেন। কোনো ধরনের আইন ভঙ্গ পছন্দ করেন না তিনি। তাই অযান্ত্রিক যানবাহনগুলোর চালকরা তাকে দেখলেই দেন ভো-দৌড়।
কিন্তু আনসার সদস্য আলী হোসেনের কাছে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয় তখন যখন, তাকে টাকা দেওয়া হয়। অর্থাৎ উল্টো পথে যাওয়ার জন্য যখন তাকে টাকা দেওয়া হয়। তখন অযান্ত্রিক যানবাহনগুলো পায় নির্বিঘ্নে সড়কে চলার অনুমতি।
বেলা ১১টা। রাজধানীর নর্দ্দায় ক্যামব্রিয়ান কলেজের উল্টো পথে দাঁড়িয়ে আছেন আনসার সদস্য আলী হোসেন। এমন সময় এশিয়ান ফাস্ট ফুডের সামনে দিয়ে রাস্তার উল্টো পথ ধরে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশার আগমন। সঙ্গে সঙ্গে রিকশাটি সাইড করার জন্য বললেন আলী হোসেন। শুধু তাই নয়, রীতিমত গালি-গালাজ করে চালককে হেনস্তা করে ছাড়লেন।
তবে চালক রাসেল জানেন কিভাবে তাকে বশে আনতে হয়। সামনে যেতে যেতে আলী হোসেনকে ধরিয়ে দিলেন ১০ টাকার একটি নোট। আর তখনই অনিয়ম হয়ে গেল নিয়ম। আর তিনিও পেলেন উল্টো পথে যাওয়ার সার্টিফিকেট।
নর্দ্দায় কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের সময় দেখা যায়, আনসার সদস্য আলী হোসেন ব্যাটারিচালিত রিকশা, পিকআপ ও মালবাহী গাড়ির চালকদের কাছ থেকে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন। আর এতে অযান্ত্রিক যানবাহনগুলো পাচ্ছে মূল সড়কে চলার অনুমতি।
এ বিষয়ে নিজের ছবি না তোলার শর্তে রিকশা চালক রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, মামা আর কইয়েন না। তাগোরে ১০ টিকা না দিলে আমাগোরে চলতে দেয় না। আর টিকা দিলেই আমাগোরে চলতে দেয়। তাই আমরা টিকা দিয়েই চলাচল করি।
টাকা নেওয়ার বিষয়ে আনসার সদস্য আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আপনি কি শুধু আমাকে দেখলেন? এটা শুধু আনসার না। প্রত্যেকটি ট্রাফিক পুলিশও করেন। এ টাকা শুধু আমি একাই খাই না, সবাই খায়। এ সময় তিনি সংবাদটি না করার জন্য অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
এসজে/জেডএস