দিনাজপুর: চারপাশে মজবুত করে দাঁড় করানো বাঁশের খুঁটি। আর সেই খুঁটিতে শক্ত সুতলি দিয়ে বানানো হয়েছে মাচাং।
সুতলিগুলো এক খুঁটির সঙ্গে অন্য খুঁটির সংযোগ রেখে জালের মতো করে তৈরি করা হয়েছে মাচাং। মাটিতে রোপণ করা বীজ থেকে ছোট গাছের জন্ম। দিনে দিনে একটু একটু করে বড় হয়ে বাঁশের খুঁটি বেয়ে উঠে যায় সুতলির তৈরি মাচাংয়ে।
বর্তমানে মাচাংয়ের উপরে যে প্রান্তেই নজর যায়, শুধু বেগুনি ও সাদা ফুল চোখে পড়ে।
এই চিত্র দিনাজপুর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের শিমের গ্রাম নামে খ্যাত মহরমপুরের। এখানকার চাষিরা দীর্ঘদিন থেকে শীতকালীন সবজি শিমের চাষ করে আসছেন। এবারো তারা গ্রাম জুড়ে অধিকাংশ জমিতে শিম চাষ করছেন। বর্তমানে শিম গাছে ফুল এসেছে। ভালো ফলনের জন্য চলছে ব্যাপক পরিচর্যা। তবে দু-একটি গাছে শিম এলেও আকারে এখনো ছোট।
শিমের গ্রাম নামে পরিচিত মহরমপুরের শিম চাষি রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ কয়েক যুগ থেকে এখানে শিমের চাষ হয়। প্রতি বছরই জেলার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। তিনি বলেন, গত মৌসুমে আমি পাঁচ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছিলাম। অনান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় এবারে সোয়া পাঁচ বিঘা জমিতে শিম চাষ করছি। বর্তমানে শিম গাছে প্রচুর ফুল এসেছে। যে পরিমাণ ফুল দেখা যাচ্ছে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে ও প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
একই এলাকার শিম চাষি রুস্তম আলী বাংলানিউজকে জানান, শিম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়ায় এখানকার কৃষকরা শীতকালে শিম চাষের দিকে ঝুকছেন। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এখানে নিয়মিত আসেন ও কৃষকদের পরামর্শ দেন।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, দিনাজপুরের শিমের গ্রামে প্রয়োজন মতো পরামর্শ দেওয়ার জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে। চলতি মৌসুমে যেভাবে শিমের গাছে ফুল দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে ও সঠিক পরিচর্যা নিলে এবার শিমের বাম্পার ফলন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৬
আরএ