কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ‘আজিবার স্বর্ণ’ নামে নতুন এক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন কৃষক আজিবার। স্থানীয়রা এ ধানের জাতের নাম দিয়েছে ‘আজিবার স্বর্ণ’।
আজিবার রহমান কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের মৃত ছবেদ হোসেন মালিথার ছেলে।
আজিবার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৪ সালে আমি এক বিঘা জমিতে ব্রি-ধান ৪৯ জাতের ধান চাষ করি। তারপর এর মধ্যে কিছু বড় ধান আলাদা করে বীজ হিসেবে ব্যবহার করি। পরের বছর আমি একবিঘা জমিতে সেটা ব্যবহার করি। সেখানে ভালো ধান জন্মে। ফলনও ভালো হয়। সেই সঙ্গে চালও ভালো হয়েছিলো। তাছাড়া ভাত খেতে সুস্বাদু। এজন্য আমি এবার তিন বিঘা জমিতে এই ধানের চাষ করেছি। আমার দেখা দেখি, এই এলাকার অনেক কৃষক এ ধান চাষ করেছেন।
তিনি বলেন, ধানের গাছগুলো তুলনামূলকভাবে বড়, প্রতি গোছায় ধানের গাছের সংখ্যা ৩৫-৪০টি। জীবনকাল ১১৫-১২০দিন। ফলন বিঘাপ্রতি ২০-২২ মণ। ধানের শীষও অনেক বড়। প্রতিটি শীষে ধানের সংখ্যা প্রায় ২৫০-৩০০টি। আর ধানও চিকন। তাই এটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে আমার এলাকার প্রায় ২০ থেকে ২৫ কৃষক তাদের জমিতে এই নতুন জাতের ধান চাষ করেছে। এর মধ্যে দুলাল ২বিঘা, বৈদ্যনাথ ১ বিঘা, আইনাল ২ বিঘা, মুসা ৩বিঘা, সিরাজুল মালিথা ২ বিঘাসহ আরও অনেকে চাষ করেছে।
চাষি দুলাল বাংলানিউজকে বলেন, আজিবার রহমানের উদ্ভাবিত ‘আজিবার স্বর্ণ’ জাতের ধান আমি এবছর দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ধানগুলো বেশ বড় হয়েছে। শীষও অনেক বেশি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।
চাষি সিরাজুল মালিথা বাংলানিউজকে বলেন, এলাকার অনেক কৃষক এ ধান চাষ করেছেন। তাই আমি আজিবার রহমানের কাছ থেকে বীজ নিয়ে এ ধান চাষ করেছি। এই এলাকার অনেক চাষি এ ধান চাষ করেছে। আগামীতে এটি চাষ আরও বিস্তার লাভ করবে।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, আজিবার রহমান নিজে বীজ সংরক্ষণ করে নতুন জাতের ধান চাষ করেছেন। এটা ওই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কার্যকরি কুশি সংখ্যায় তুলনামূলকভাবে বেশি। আর কৃষকরাও বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। গাছের উচ্চতা বেশি এবং ধানের কুশির সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত ধানটি জনপ্রিয় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৬
পিসি/