ঢাকা: পারিবারিক কলহের জের ধরে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোমেন হাসনায়েন রব্বানী (৪০) আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করছে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পল্লবী থানা এলাকার ৮ নং রোডের ৫ নং বাড়ির ৪র্থ তলা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের বরাত দিয়ে পল্লবী থানার এসআই সুলতান আলী শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি পরিবারের সাথে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। পারিবারিক কলহের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
‘রব্বানী সিআইডি সাসপেনসানে ছিলেন এমন একটা কথাও শোনা গেছে। তবে এ সংক্রান্ত কোন তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আসেনি। তাই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না’ বলেন তিনি।
এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৫৩/১৬।
রব্বানী স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। ছেলের বয়স ১১ বছর ও মেয়ের বয়স সাড়ে তিন বছর। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের বেজপাড়ায়।
এসআই সোলেমান বলেন, রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তার স্বজনরা বাড়িওয়ালা মামুনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বাড়িওয়ালা জানায়, তার বাসার ভেতর থেকে দরজা বন্ধ।
পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ড্রইং রুমের ফ্যানের সঙ্গে রব্বানীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশ। এরপর মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই সুলতান বলেন, ঘটনার সময় তার বাসায় কেউ ছিল না। তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েদের নিয়ে গত তিনদিন আগে বাপের বাড়ি যান। এই সুযোগে তিনি বাসার ড্রইং রুমে গামছা দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
মরদেহটির সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রব্বানীর শরীরের অন্য কোথাও কোন আঘাত বা জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান এসআই সুলতান।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
পিএম/আরএ
** রাজধানীর পল্লবীতে এসআইয়ের মরদেহ উদ্ধার