সিলেট: ভারত থেকে জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করার সময় রাগিব আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় জকিগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুজ্ঞান চাকমা বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশকালে তাকে গ্রেফতার দেখায় ইমিগ্রেশন পুলিশ। সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় জালিয়াতি ও প্রতারণার দু’টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেফতারের পর তাকে জকিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে জকিগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে এ দু’টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরপরই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত ১২ আগস্ট বিকেলে ছেলে আব্দুল হাইসহ পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান কথিত দানবীর রাগীব আলী।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির দুটি মামলায় ওই তারিখে রাগীব আলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সিলেটের একটি আদালত। রাগিব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাই ছাড়াও মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- রাগীব আলীর মেয়ে রোজিনা কাদির, জামাতা আবদুল কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ ও তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্ত।
৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা-বাগানের পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী। গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের এক বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। রায় বাস্তবায়ন করতে সিলেটের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া অন্যায় ভাবে পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে মামলায় আসামি করায় তাকে খালাস দেওয়া হয়। গত ১৫ মে চা বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়া ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
এনইউ/বিএস