সিলেট: সিলেটে আলোচিত কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যা চেষ্টা মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম সরাবন তহুরা চার্জশিট গ্রহণের পর বিচারের জন্য মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হীরু’র আদালতে প্রেরণ করেন।
মামলার শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ হয় ২৯ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
মহানগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এর আগে মামলার একমাত্র আসামি বদরুল আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। চার্জশিট গ্রহণের সময় বদরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ নভেম্বর অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ওইদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম সারবন তহুরার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট শাহপরান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহা. হারুন অর রশিদ।
চার্জশিটে শুধু বদরুলকে আসামি করা হয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে ভিকটিম নার্গিস, মামলার বাদী নার্গিসের চাচা আব্দুল কুদ্দুসসহ ৩৬ জনের নাম।
৮ পৃষ্ঠার চার্জশিটের সঙ্গে অন্য আলামতের বিবরণসহ (সাব-অর্ডিনেট পেপার) ১৯৫ পাতা সংযুক্ত রয়েছে। মূলত, প্রেমপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নার্গিসকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে, চার্জশিটে এমন উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে ধারা যুক্ত করা হয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের কারণে ৩২৪, গুরুতর জখমের কারণে ৩২৬ এবং হত্যার উদ্দেশ্যে মারার জন্য ৩০৭ ধারা।
ওইদিন চার্জশিট গ্রহণের জন্য ১৫ নভেম্বর নির্ধারিত তারিখ ছিল। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করায় এবার মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।
গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে শাবি ছাত্র বদরুল আলম। বদরুল শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। হামলার পরপরই বদরুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
৪ অক্টোবর এ ঘটনায় নগরীর শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস। ৫ অক্টোবর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন বদরুল।
হামলার পর খাদিজাকে উদ্ধার করে প্রথমে ওসমানী হাসপাতাল ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানেও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এনইউ/জেডএস