ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২০১৭ সালে সিসি ক্যামেরায় ঢেকে যাবে উত্তর সিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৭
২০১৭ সালে সিসি ক্যামেরায় ঢেকে যাবে উত্তর সিটি বক্তব্য রাখছেন মেয়র আনিসুল হক

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, গুলশান এলাকায় দেড় হাজার সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ২০১৭ সালের মধ্যে পুরো উত্তর সিটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।

শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নগর উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় 'আলোকিত মহানগর উত্তর' অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মেয়র বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছরের মধ্যে আমরা উত্তর সিটিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছি। আমাদের কর্মীরা ঢাকাকে বদলে দিতে রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশনের কাজেও অনেক স্বচ্ছতা এসেছে। তবে বর্তমানে আমাদের চ্যালেঞ্জ আকস্মিক দুর্ঘটনা। কয়েকদিন আগে ডিসিসি মার্কেটে দুর্ঘটনার মত আমরা প্রায়ই বিপদের সম্মুখীন হই। এখানে ভুল বোঝাবুঝিও হয়।

তিনি বলেন, ডিসিসি মার্কেটের দুর্ঘটনা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় যেসব নিউজ হয়েছে সংবাদ সম্মেলন করে আমরা তা প্রমাণ করেছি, গুলশান ১ এর ডিসিসি মার্কেট ২০০৯ সাল থেকে পরিত্যক্ত হওয়া উচিত ছিলো।   দুই একবার তাদের বন্ধ রাখার চিঠিও দিয়েছিলাম। কিন্তু দুই একজনের মামলা করার কারণে আমরা বারবার আটকে গেছি। আমরা কিছু করতে গেলেই তারা মামলা করে আটকে দেয়।
 
আনিসুল হক বলেন, গুলশান ১ এর ডিসিসির মতো গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেটের অবস্থাও একই রকম। কাওরান বাজারসহ এরকম আরো ৭টি বিপদজ্জনক মার্কেট রয়েছে। যার প্রত্যেকটি বিপদাপন্ন।

পোস্টার বন্ধ করা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিলবোর্ড সরাতে পারছি, ময়লা সরাতে পারছি কিন্তু পোস্টার সরাতে পারছি না। একটা দেয়াল রঙ করতে কতদিন সময় লাগে, তা কেউ বোঝে না। আর চারটা পোস্টার লাগিয়ে সে দেয়াল নষ্ট করা হয়।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির সম্মেলনে দেয়ালে পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে তুলে ধরেন।   এসময় পোস্টার লাগানো বন্ধ করতে সরকারের সহায়তাও কামনা করেন তিনি।

মেয়র বলেন, আগামী দুই বছরে এমন উন্নয়ন করবো, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে রিফ্লেকশন হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক, ডা. দিপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, সংসদ সদস্য কামাল মজুমদার, আসলামুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৮  ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমসি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।