ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নব্য জেএমবির আস্তানার খোঁজে পুলিশ

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৭
নব্য জেএমবির আস্তানার খোঁজে পুলিশ নব্য জেএমবি প্রতীকী

ঢাকা: ঢাকায় নব্য জেএমবির একাধিক আস্তানা খোঁজে বের করা ও পলাতক জঙ্গিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশের কাউন্টার টোরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিবুল হক বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, নব্য জঙ্গি নেতারা নিজেদের গ্রেফতার এড়ানোর জন্য নাম-পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে রয়েছে।

এসব জঙ্গি নেতা ও নব্য জেএমবির একাধিক আস্তানার খোঁজে পুলিশ কাজ করছে।
 
মো. মহিবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, পলাতক জঙ্গিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নব্য জেএমবির আরও কয়েকটি আস্তানা রয়েছে বলে আমরা ধারনা করছি।

পলাতক জঙ্গি নেতারা আত্মগোপন থেকে ওইসব আস্তানায় আশ্রয় নিতে পারে বলেও জানান তিনি।
 
কাউন্টার টোরোরিজম ইউনিটের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পলাতক জঙ্গিদের মধ্যে মাইনুল ইসলাম মুসা, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট বাসার, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা সোহেল, উজ্জ্বল, সাগর, ফিরোজসহ বেশ জঙ্গি সদস্য পলাতক রয়েছেন।

এদিকে, বড় মিজান ও ছোট মিজান নামে দুই জঙ্গিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা গুলশান হলি আর্টিজান হমলার ঘটনায় ভারত থেকে নব্য জেএমবিকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছিলো।

সম্প্রতি রাজধানী ও এর আশপাশে নব্য জেএমবি বেশ কয়েকটি আস্তানায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে জঙ্গি নেতা তামিম চৌধুরীসহ শীর্ষ পর্যায়ের বেশকিছু জঙ্গি নেতা নিহত হন।  

নারায়ণগঞ্জ জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে তামিম নিহতের পর সংগঠনের নেতৃত্ব চলে আসে জঙ্গি নেতা মাইনুল ইসলাম মুসা ওপর। তিনি আত্মগোপনে থেকে নব্য জেএমবির বিভিন্ন নেতা কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

সূত্রটি আরও জানায়, রাজধানীর পূর্ব আশকোনার ‘সূর্যভিলা’ বাড়ির নিচতলা জঙ্গিদের শেল্টার হোম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই আস্তানায় তারা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতো। নব্য জেএমবির পলাতক শীর্ষ নেতা মূসা, সোহেল মাহফুজসহ অন্য নেতারা নিয়মিত এই আস্তানায় আসা-যাওয়া করতেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি)  গভীর রাতে রাজধানীর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশ চেকপোষ্টে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন নব্য জেএমবির অপারেশনাল কমান্ড‍ার নুরুল ইসলাম মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দাম হোসেন।

জঙ্গি নেতা নুরুল ইসলাম মারজান গুলশান হামলার অন্যতম একজন মাস্টারমাইন্ড। কল্যাণপুরে বসে ওই হামলাটি পুরোপুরি মনিটরিং করেছিলেন। পরে তিনি আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের জন্য কাজ করছিলেন।

এদিকে, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট বিল্ডিংয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব টেরোরিজম ইন দ্যা ওয়েব অব ইসলামিক  স্টেট শীর্ষক কনফারেন্সে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘গুলশান হামলার ঘটনায় যে কয়জন মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তাদের মধ্যে মারজান অন্যতম। তিনি অত্যন্ত ডেয়ারিং (দুর্ধর্ষ)  প্রকৃতির জঙ্গি। তিনি ওই হামলার অপারেশন কমান্ডার ছিলেন। নর্থবেঙ্গল ও ঢাকার আশেপাশে যতগুলো জঙ্গি হামলা হয়েছে সবগুলোর সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, ‘সাদ্দাম উত্তরবঙ্গের একজন নটরিয়াস জঙ্গি। উত্তরবঙ্গে যতগুলো জঙ্গি হামলা সংঘঠিত হয়েছে তিনি সবগুলো সঙ্গে জরিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলার চার্জশিট আছে এবং ৫ মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসজেএ/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।