ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘রাষ্ট্রকে কর না দিলে পরপারে হিসাব দিতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৭
‘রাষ্ট্রকে কর না দিলে পরপারে হিসাব দিতে হবে’ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অতিথিরা

ঢাকা: কর, ব্যবসায়ীসহ দেশের জনগণের কাছে রাষ্ট্রের আমানত। রাষ্ট্রকে কর না দিয়ে আমানতের খেয়ানত করলে পরপারে হিসাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
 
 

রোববার (০৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আইডিইবি ভবনে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
তিনি বলেন, কর ধর্মীয় বিধান না।

তবে ধর্মে বলা হয়েছে, যদি রাষ্ট্র আইনি দায়িত্ব দেয় সে অংশ পালন করতে হবে। আইনের একটি অংশে বলা হয়েছে রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে কর প্রদান করতে হবে।
 
ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, জনগণ সবাই আমানতদার। ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে কর না দিলে মনে করতে পারেন ফাঁকি দিলাম। এ ফাঁকি দেওয়ার জন্য এপারে না হলেও ওপারে আল্লাহর কাছে হিসেব দিতে হবে।
 
কর না দিয়ে এনবিআরকে ঠকানো মানে বীরত্ব না। কর ফাঁকি দিয়ে মনে করতে পারেন ১৬ কোটি মানুষকে ঠকালাম। কিন্তু নিজেই ঠকে গেলাম। কর না দিয়ে মানুষের হক নষ্ট না করার অনুরোধ জানান তিনি।
 
আগামী ৫ বছরে ব্যবসার উন্নয়ন সূচকে (ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্স) বাংলাদেশের অবস্থান দুই সংখ্যায় নামিয়ে আনতে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।  

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন সূচকে ১৯৮টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬তম। আমরা পেছনে পড়ার মূল কারণ হলো বিনিয়োগের জন্য অনুকূল না। ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে বিনিয়োগকারীরা আসতে চান না। দেশীয় বিনিয়োগকারীরা হয়রানির শিকার হয়ে বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার কোনো পরিবেশ নেই। ব্যবসার পরিবেশ সূচক উন্নয়ন করার জন্য আইন সহজ করা, হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদান, জনবান্ধব অফিসে রুপান্তর ও পার্টনার ব্যবসায়ীদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এসব করতে পারলে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ এর নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। সবাই চেষ্টা করলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে এটি দুই সংখ্যার ঘরে নামিয়ে আনতে পারবো।
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন মূসক আইন উদ্যোক্তাবান্ধব। এ আইন শক্তিশালী ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশন সহযোগিতা করবে।
 
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, নতুন মূসক আইন বাস্তবায়নে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব স্থাপন করা হবে। ধর্মীয় সংখ্যা গুরুরা হবেন এ আইনের জনমত সৃষ্টির অগ্রণী।  
 
তিনি বলেন, চারটি ধর্মের যারা শিক্ষাগুরু, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যারা দেখাশোনা করেন তাদের নিয়ে কর্মশালা করা হবে। শুধু ভ্যাট নয়, আয়কর ও শুল্ক বিষয়েও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
আরইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।