ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পরিত্যক্ত প্লাস্টিক থেকে নতুন পণ্য

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৭
পরিত্যক্ত প্লাস্টিক থেকে নতুন পণ্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পণ্য মেশিনে টুকরো করে তা শুকানো হচ্ছে। ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: এক সময় বাংলার ঘরে ঘরে খাবার বাসন থেকে শুরু করে পানির কলস সবই ছিল মাটির তৈরি। কালের বিবর্তনে সেই জায়গাটি এখন দখল করেছে প্লাস্টিক। বর্তমানে সবাই প্লাস্টিকের তৈজসপত্র ব্যবহারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।  প্লাস্টিকের জিনিসপত্রের একদিকে যেমন দাম কম অন্যদিকে টেকসইও। আর প্লাস্টিকের পাত্র ভেঙে গেলেই ‍তার ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায় না। ভাঙা বা পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র আবারও নতুন হয়ে আমাদের হাতে পৌঁছে।

প্লাস্টিকের কোনো জিনিস ভেঙে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে আমরা সেটি হয় ফেলে দেই, আর না হলে ভাঙাড়িওয়ালাদের কাছে কেজি দরে বিক্রি করে দেই। তখন অনেকেই সেই ভাঙাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞেস করে থাকি ‘ভাই এইগুলো নিয়ে আপনারা কী করেন?’ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা জবাব দেন মহাজনের কাছে বিক্রি করে দেই।

তারপরের টুকু হয়তো আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না।
 
পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পণ্য মেশিনে টুকরো করে তা রোদে শুকানো হচ্ছেকী হয় এসব ভাঙা, অকেজো, পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে চোখে পড়ে অন্যরকম দৃশ্য। যেই দৃশ্য রাজধানীর লালবাগের ইসলামবাগের বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে আপনিও দেখতে পারেন।
 
বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের যেমন ধান, গমসহ বিভিন্ন শস্য রোদে শুকানোর ধুম পড়ে। ঠিক তেমনি দৃশ্যই সেখানে। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন রোদে কৃষকদের শস্য শুকানোর ধুম পড়েছে। তারপর কাছে যেতে থাকলে দৃশ্য ভিন্ন, দেখা যাবে বিভিন্ন রঙের ছোট ছোট কী যেন। সেগুলো আর কিছু নয়, প্লাস্টিকের ছোট ছোট টুকরো।
 
ছোট ছোট এই প্লাস্টিকের টুকরো রোদে শুকানো হচ্ছে কেন আর এসব দিয়ে কী করা হয় এ বিষয়ে কথা হয় সেখানকার একজন প্লাস্টিক ব্যবসায়ী মো. হুসাইনের সঙ্গে।  

পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পণ্য মেশিনে টুকরো করে তা রোদে শুকানো হচ্ছেতিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রথমে ভাঙাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে এগুলো ক্রয় করি। তারপর সেখান থেকে এক এক রঙের প্লাস্টিকগুলো আলাদা আলাদা করে রাখি। এর পরের ধাপ হচ্ছে সেগুলো কাটিং মেশিনে কেটে এভাবে ছোট ছোট টুকরো করা হয়। তারপর সেগুলো পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হয়। রোদে শুকানোর পর এগুলো পাঠানো হয় মেশিনে, যেখানে ছোট টুকরাগুলো গলিয়ে তাতে আবার প্রয়োজনীয় রঙ মিশিয়ে ‘গুলি’ বানানো হয়।
 
এরপর সেইগুলি পছন্দ মতো প্লাস্টিকের পাত্র তৈরি করা হয়। এভাবে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক থেকে ব্যবহারের উপযোগী করে আবার তৈরি করা হয় নতুন পাত্র।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এমএইচকে/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।